জ্বীন এবং মানুষকে আল্লাহ শুধু তার ইবাদত করার জন্য সৃষ্টি করলে এবার মানুষের পাশাপাশি জ্বীনকে নির্বাচনী মাঠে নামাতে চেষ্টা করছেন দিরাই কলেজ সংসদরে সাবেক এজিএস প্রার্থী রামীম চৌধুরী। সদ্য সমাপ্ত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনি উপজেলার করিমপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। পরে বাচাই পর্বে তার মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায়।
জানাযায়, দিরাই পৌরসভার সুজানগর গ্রামের দিরাই উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবদুল হেকিম চৌধুরীর ছেলে রামীম চৌধুরী কলেজ জীবনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সামনের সাড়ির নেতা ছিলেন। কলেজ সংসদ নির্বাচনে ছাত্রদলের প্যানেলে তিনি এজিএস পদে নির্বাচন করেছেন। হঠাৎ করে রাজনীতির মাঠ ছেড়ে জ্বীন-পরীদের দলে যোগ দেন। প্রায়ই সময় তাকে রাস্তায় একা একা হাঁটতে দেখা যেত। মানুষের সাথে দুরত্ব বাড়তে থাকে।
গত কয়েকদিন যাবৎ রামীম চৌধুরীর ব্যতিক্রমী নির্বাচনী প্রচারণা মানুষকে আকৃষ্ট করেছে। দিরাই পৌরসদরের বিভিন্ন পয়েন্টে পয়েন্টে শোভাপাচ্ছে রামীম চৌধুরীর ছবি সম্মিলিত ফেষ্টুন। তাতে লিখা রয়েছে, জ্বীন-পরী মনোনীত রামীম চৌধুরী সুনামগঞ্জ-২ আসন সংসদ নির্বাচনে পদপ্রার্থী। প্রচারে জ্বীন-পরী।
সুজানগর গ্রামের তরুণ সাংবাদিক ইফতেকার মো. নাবিল তারে ফেসবুক ওয়ালে এ ফেস্টুন সহ লিখেছেন, ‘মিডনাইট ইলেকশন’ এর এই শক্তিশালী প্রার্থীকে কি কেউ হারাতে পারবে। আবু নূর মো. নূরুল আইডিতে এ ফেস্টুন পোস্ট করা হলে, দিরাই পৌরসভার কাউন্সিলর মো. প্রদীপ লিখেছেন উনাকেই আমাদের দরকার।
রামীম চৌধুরীর প্যানেলেরর জিএস প্রার্থী বিপ্লব সরদার লিখেছেন, আমারত মনে হয় এঠাই ভাল কারণ যে কোন নির্বাচন আসলেই দেখা যায় প্রচারে ইউনিয়ন বাসী, উপজেলা বাসী, ওয়ার্ড বাসী ইত্যাদি আসলেই কি তাই না সবই নিজে নিজের প্রচার। তার চেয়ে রামীম ভাইয়ের এই প্রচার একশত গুন ভালো। পারলে কেউ জ্বীন পরীকে গিয়ে জিজ্ঞাসা করেন?
এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুল ও দিরাই বাজারে বিপুল আলাচনা সমালোচনা চলছে। এ ব্যাপারে রামীম চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।