কালিগঞ্জে আলুর ক্ষেত থেকে হাঁস তাড়িয়ে দেওয়ায় কদবানু বিবি (৬০) নামে এক বৃদ্ধাকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ৮ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলার মৌতলা ইউনিয়নের পানিয়া গ্রামে। ভুক্তভোগী বৃদ্ধা পানিয়া গ্রামের আবদুর রহমান শিকারীর স্ত্রী।
এঘটনায় বৃদ্ধার ছেলে শাহাদাৎ হোসেন (৩৩) বাদী হয়ে কালিগঞ্জ থানায় ৯ জনসহ অজ্ঞাত ৩/৪ জনের নামে মামলা দায়ের করেছেন।
ভুক্তভোগী ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, পানিয়া গ্রামের শাহাদাৎ হোসেনের সাথে একই গ্রামের ইসমাইল গাজীর ছেলে কহিনুর গাজীর (৪৫) দীর্ঘদিন যাবত জমি সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছে। গত ৮ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে কহিনুর গাজীর পোষা রাজহাঁস ভুক্তভোগী শাহাদাতের আলুর ক্ষেতের মধ্যে প্রবেশ করে ফসলের ক্ষতিসাধন করছিলো। এ সময় শাহাদাৎ হোসেনের মা বৃদ্ধা কদবানু বিবি ফসলের ক্ষেত থেকে হাঁস তাড়িয়ে দেয়।
যার সূত্রধরে কহিনুর গং দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে বে-আইনি জনতায় দলবন্ধ হয়ে শাহাদাৎ হোসেনের বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করে তার মা কদবানু বিবিকে দড়ি দিয়ে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করে। কহিনুর গংয়ের নির্যাতনে ভুক্তভোগী কদবানুর মুখের সামনের চারটি দাঁত ভেঙ্গে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়েছেন। এ ছাড়া তার দেহের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম হয়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ রয়েছে। বর্তমানে কদবানু কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক সিয়াবুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এদিকে অভিযুক্ত কহিনুর গাজীর বড় ভাই মামলার অন্যতম আসামি মোজাহারুল গাজীর ব্যবহৃত ফোন নাম্বারে ফোন দিয়ে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি একটি পরিকল্পিত ঘটনা। আমাদের বিরুদ্ধে শত্রুতামূলক ভাবে মামলাটি করানো হয়েছে।