সূর্য ডোবার সাথে সাথে পাখির কলকাকলিতে মূখরীত হয়ে উঠে মণিরামপুর উপজেলা ক্যাম্পাসের পুরো চত্ত্বর। পাখীর মন মাতানো কিচির মিচির ডাকে মন খারাপ যে কোন বয়সী মানুষের হৃদয় দোলা দিয়ে উঠবে। বিকেল গড়িয়ে গোধূলী বেলায় যশোরের মণিরামপুর উপজেলা পরিষদের ক্যাম্পাস ও গাছ-গাছালিতে পাখির ডানা মেলে উড়ার দৃশ্য এবং পাখির কলরবে মন খারাপি যে কোন বয়সী মানুষের মন ভাল হয়ে উঠবে।
শুক্রবার বিকেলে উপজেলা পরিষদের ক্যাম্পাসে এমন মন মাতানো দৃশ্য চোখে পড়ে। ক্যাম্পাসে মেহগনি, রেইনট্রি, নারিকেলসহ বিভিন্ন প্রজাতির কয়েক’শো গাছ রয়েছে। সন্ধ্যা নামার আগেই এসব গাছের শাখা-প্রশাখায় ডানা মেলে উড়ে বসছে হাজার হাজার পাখ-পাখালী।
তথ্যনুসন্ধানে জানাযায়, যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কের বড় গাছগুলো কেটে ফেলায় পাখির বসবাসে সংকটে পড়ে। এ কারণে উপজেলা পরিষদের ক্যাম্পাসের গাছগুলোই হাজার হাজার পাখির আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে। পাখির মলত্যাগের কারণে অনেকের পরিধেয় জামা-কাপড় নষ্ট হয়ে যায়। তারপরও পাখীর এমন মনোমুগ্ধকর কলরবে অনেকেই ইতিবাচক হিসেবে নিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসের নৈশ প্রহরী রুবেল হোসেন বলেন, তিনি ৫ বছর ধরে এখানে কর্মরত আছেন। আসার পর থেকেই তিনি পাখি দেখছেন। তবে, চলতি বছর পাখির আগমন আরও বহুগুন বৃদ্ধি পেয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ জাকির হাসান বলেন, প্রতিদিন পাখির মলত্যাগে বাসভবনসহ অফিস ভবনগুলো ময়লা হচ্ছে। ঘর থেকে বের হলেই পরিধেয় জমা-কাপড়ও প্রায়ই নষ্ট হয়ে যায়। তারপরও প্রকৃতির এমন মনোমুগ্ধকর দৃশ্য খুবই ভাল লাগে।