গোয়ালন্দে স্বামীর অত্যাচার সইতে না পেরে চায়না খাতুন (৩০) নামের এক গৃহবধু আত্মহত্যা করেছে। তবে নিহতের স্বজনদের দাবী মাদকাসক্ত স্বামী অত্যাচার করে তাকে মেরে ফেলেছে। ঘটনাটি ঘটেছে রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া তোরাপ শেখের পাড়ায়। নিহত গৃহবধু দুই কন্যা সন্তানের জননী।
শনিবার (১১ জানুয়ারী) সকালে গৃৃহবধুর স্বামীর বাড়ির ঘর থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। পরে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে লাশ ময়না তদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ ঘটনার পর গৃহবধুর স্বামী রেজাউল শেখ (৩৫) বাড়ী থেকে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকা থেকে আটক করে থানা পুলিশে সোপর্দ করে। সে স্থানীয় আফসার শেখের ছেলে।
নিহত চায়না খাতুনের বাবা সিরাজ দেওয়ান জানান, ৯ বছর আগে রেজাউলের সাথে আমার মেয়ের বিয়ে দেই। বিয়ের পর থেকেই সে আমার মেয়ে কে নানা ভাবে অত্যাচার করতো। ঠিকমতো রোজগার করতো না। নেশা গ্রহণসহ নানা বাজে আড্ডায় লিপ্ত থাকতো। নিয়মিত অনেক রাত করে বাড়ী ফিরতো। আমার মেয়ে ও দুই নাতনির ঠিক মতো ভরণ পোষণ দিত না। প্রায়ই আমার বাড়ীতে পাঠিয়ে দিতো। সংসারে ঝগড়া-ঝাটি লেগেই থাকতো। আমি সাধ্য মত চাল-ডাল, টাকা-পয়সা দিয়ে সাহায্য করতাম। শুক্রবার রাতে এসব বিষয় নিয়ে ঝগড়া হলে রেজাউল আমার মেয়েকে গলা টিপে হত্যা করে এবং সে বাড়ী থেকে পালিয়ে যায়। সকালে প্রতিবেশীদের কাছ থেকে সব জেনে ছুটে এসে আমি মেয়ের লাশ দেখতে পাই। আমি এর ন্যায় বিচার চাই।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদার জানান, প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট অনুযায়ী এটাকে আত্মহত্যা বলে মনে হয়েছে। চায়না স্বামী একজন মাদকাসক্ত বলে জানতে পেরেছি। অভাবের সংসারে ঝগড়া-বিবাদের একপর্যায়ে অভিমান করে সে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে। তারপরও প্রকৃত ঘটনা জানার জন্য লাশ ময়না তদন্ত করতে মর্গে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয়রা অভিযুক্ত স্বামী রেজাউলকে আটক করে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।