দেশে এখন সিলভারের সরঞ্জামদি বাজারে চলে এসেছে তাই আমাদের মাটির তৈরির চাহিদা কমছে। এখন আর এ পেশা ধরে রাখতে পারছি না। এ রচম দূর্দিনে আমাদের ছেলে- মেয়েদের অন্য কোন পেশা বেঁচে নিতে হবে এমনটি বলেছিলেন নিকলী উপজেলার পালপাড়ার মৃত দীনেস চন্দ্র পালের পুত্র শাস্ত পাল বলেন পাঁশ্বভর্তি বোয়ালিয়া হাওয় থেকে জৈষ্ট মাসের দিকে বোরো জমি থেকে বহু কষ্টে এঁটেল মাটি সংগ্রহ করে বাড়িতে এনে স্তুপ করে রাখে। তারপর সারা বছর হাড়িঁ বাতিল, খেলনার জিনিস পত্র তৈরি করি। তারপর তা বিভিন্ন মেলায় হাঁটে বাজারে বিক্রি করে সংসার চালাই। আগে মাটির তৈরি বেশি বেশি সংসারের ব্যবহার্য্য জিনিসপত্র বানাতাম এ গুলোর আর চলে না তাই বাচ্ছাদের খেলনার জিনিসপত্র তৈরি করি। আমাদের আর করার কিছু নেই। না পারি এ কর্ম চারতে না পারি অন্য কর্ম করতে। নিকলী সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, পালপাড়ার ২১টি পরিবার লোকজন মৃৎশিল্পের জড়িত রয়েছে। শত অভাব অনটনের মাঝে বাব- দাদার কাছ থেকে শেখা মৃৎশিল্পকে ঐতিহ্য হিসেবে ধরে রেখেছি। বাড়ির পুরুষদেরকে গৃহিনহীদের এ মৃৎশিল্প কাজের সাহায়তা করে। একসময় পালপাড়ার মৃৎশিল্পিদের ও ফসলের জমি ছিল। ভরতে চলে যাওবার নেশায় কেউ বাড়ি বিক্রি করে টাকা আস্তে আস্তে ভিন্ন খাতে খরচ করেন। আবার কেউ নিতান্তই জমি বিক্রি করে সংসার চালাইতেন। জানাজায় সম্প্রতি স্থানীয় সমাজ সেবা অধিদপ্তর থেকে ২১টি পরিবারের ৫টি পরিবাকে প্রণোদনা দিয়েছে। প্রনোদনা না পাওয়া বাকি পরিবাররা এ নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করছেন। পাঃলপাড়ার অধিবাসী চিনু রানী পাল (৫৮) বলেন, সরকার যদি আমাদের অসাহায়ত্বের কথা ভেবে প্রনোদনা দেন বা সহজ শর্তে সুদ মুক্ত ঋণ দেন তাহলে এ শিল্পটাকে ধরে রাখতে পারবো এবং সুন্দর ও সচ্চল ভাবে চলতে পারবো। নিকলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসান বলেন, আমি সম্প্রতি নিকলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেছি। বিষয়টি আমার জানা নেই নিকলী পালপাড়ার যারা সরকারের পক্ষ থেকে প্রণোদনা পায়নি তাদেরকে প্রণোদনা ব্যবস্থা করা হবে।