গৃহহীন ও ভুমিহীনদের স্বপ্নের বাড়ী নির্মাণ কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। দিনাজপুরের বিরলে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে, প্রধানমন্ত্রীর উপহার গৃহহীন ও ভুমিহীনদের পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় ২৫টি বাড়ির নির্মাণ কাজ চলছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায়, উপজেলা প্রশাসনের বাস্তবায়নে,তৃতীয় পর্যায়ে ২৫টি বাড়ী নির্মাণে ৬১ লাখ ২৫ হাজার টাকা ব্যয়ে করা হবে। এতে প্রতিটি বাড়ির জন্য নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা।
দেখা গেছে, বিরল উপজেলার আজিমপুর ইউনিয়নের চন্দন দিঘীতে ১৫টি ও ধর্মপুর ইউনিয়নের রাণীপুরে ১০টি বাড়ি নির্মাণাধীন কাজ চলছে। এসব চৌচালা রঙ্গিন বাড়িতে থাকবে ২টি থাকার ঘর, ১টি রান্না ঘর, ১টি শৌচাগার, বারান্দা সম্মিলিতসহ পানি ও বিদ্যুৎ এর ব্যবস্থা। এখন শুধু ওই ঘর নির্মাণের সর্বশেষ সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ চলছে।
এ ব্যাপারে জমিসহ ঘর পাওয়া সীতা বেওয়া বলেন, আমরা কোন দিন ইটের বাড়ীর স্বপ্নও দেখিনি। একদিন কাজ না করলে পেটে ভাত জোটেনা। বাড়ীতো দুরের কথা। শুধু চাটাই-বেড়া দিয়ে কোন মতো করে থাকতাম, স্বামী সন্তান নিয়ে খুব কষ্টে বসবাস করতাম। কিন্তু আশ্চর্জের বিষয়, জাতির জনকের কন্যা প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বপ্নের মতো আমাদের গরীব মানুষের কথা চিন্তা করে আজ জায়গা এবং ঘর দুটোই করে দিলেন।
আরেকজন ঘর পাওয়া রমেশ চন্দ্র রায় বলেন, প্রধানমন্ত্রি শেখ হাসিনা আমাদেরকে কথা চিন্তা করে ২ শতক জমির উপরে পাকা বাড়ী করে দিচ্ছেন। এখন ছেলে-মেয়েদের নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকতে পারবো। প্রধানমন্ত্রীকে আমরা কোন দিন ভুলতে পারবোনা। তিনি যেন যুগ যুগ ধরে বেচে থাকেন।
অন্য আরেকজন ঘর পাওয়া তাপস চন্দ্র বলেন, জমি কিনে বাড়ি করার মতো আমার আর্থিক কোন সামর্থ্য ছিল না। ১৫ বছর ধরে অন্যের জায়গায় আশ্রিত ছিলাম। আমার দুঃখ ঘুচে গেছে আজ। ‘আমি ছিলাম ভূমিহীন, এখন জমি ও ঘরের মালিক হয়েছি। খুব খুশি লাগছে।
এ ব্যাপারে বিরল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারঃ) আবদুল ওয়াজেদ বলেন, আমি নিয়মিত এসব ঘরের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন ও তদারকি করে আসছি। আমি আশা বাদী বর্তমানে যে সকল ঘরের কাজ হচ্ছে তা অন্য সময়ের থেকে অনেক গুন ভালো ও মজবুদ করে করা হচ্ছে। দ্রুত উপকারভোগীদের মাঝে ঘর হস্তান্তর করা হবে।