আইসিটি প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, জনদুর্ভোগ লাঘবে প্রায় সাড়ে সাতশ কোটি টাকা ব্যয়ে নাটোর-বগুড়া মহাসড়ক প্রসস্তকরণ কাজ চলছে। আরো ২২০ কোটি টাকা ব্যয়ে শেরকোল থেকে চৌগ্রাম পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার ফোরলেন কাজ শুরু হবে। আর এই কাজে নাটোর অংশে গুণগত মান খারাপ হওয়ায় ভোগান্তি হচ্ছে। আর এক মাসের মধ্যে কাজের উন্নয়ন না হলে ঠিকাদারকে কালো তালিকাভূক্ত করে নতুন ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হবে।
পলক আরো বলেন, চলনবিলের এই কাঁদামাটিতে আমার জন্ম। জনগণের ভালোবাসায় পর পর ৩বার এমপি হয়েছি। আর এলাকার মানুষের মুখে হাসি ফুটানো আমার লক্ষ। আর এই হাইটেক এবং শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং সেন্টার শুধু সিংড়ার জন্য নয়। নাটোর, নওগাঁ, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ থেকে এসে তরুণরা তাদের শক্তিকে কাজে লাগাবে। এখানে কর্মহীন মানুষের কর্মসংস্থান হবে। তরুণরা চাকুরী খুঁজবে না, চাকুরী দিবে।
সোমবার দুপুরে সিংড়ার শেরকোল হাই-টেক পার্ক প্রাঙ্গনে ২৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে উপজেলায় বাস্তবায়নাধীন জেলা পর্যায়ে আইটি/ হাইটেক পার্ক স্থাপন (১২ জেলায়) প্রকল্প ও শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এ- ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন প্রকল্প, টেকনিক্যাল স্কুল এ- কলেজ, টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে জেলার নির্বাহী প্রকৌশলীদের সাথে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী পলক।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ। সিংড়ার ইউএনও এম.এম সামিরুল ইসলামের পরিচালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন নাটোর জেলা হাই-টেক পার্ক এর প্রকল্প পরিচালক একেএম ফজলুল হক, উপ-প্রকল্প পরিচালক আশরাফুল আলম, শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এ- ইনকিউবেশন সেন্টারের প্রকল্প পরিচালক মোস্তফা কামাল, সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আবদুল মান্নাফ আকন্দ, বিএডিসি এর নির্বাহী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন, জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আলমগীর মিয়া, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আনিছুর রহমান, সিংড়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কামরুল হাসান, শেরকোল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফুল হাবিব রুবেল, সিংড়া ডায়াবেটিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা রুহুল আমিন প্রমূখ।