আমি আগৈলঝাড়া উপজেলায় মেধাতালিকায় প্রথমস্থান অধিকার করি। বরিশাল জেলা পর্যায়ে মেধাতালিকায়র পরিক্ষায় অংশনিতে যাবার পথে সড়ক দুরঘটনায় আমার বাম পাটি ভেঙ্গেযায়। আমার মেধাযাচাইর পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করা হলোনা। তখন আমি নবমশ্রেণীর ফাইনাল পরিক্ষা দিচ্ছিলাম। আমার চিকিৎসায় অনেক টাকা চলেয়া। আমার পড়াশুনা বন্ধহবার পথে ছিলো। আমার মা-বাবা ও তিন বোন নিয়ে আমাদের ৫ জনের সংসার। আমি বোনদের বড়। আমার বাবা আসুস্থা থাকায় আমার মা দিনমজুরে কাজ করে আমাদের সংসার ও আমাদের তিন বোনের পড়ালেখার খরচ চালালিয়ে আসছে। আমি কলেজে পড়ালেখার পাসাপাসি টিইউশিন করে আমার কলেজের খরচ চালাতাম। আমি ২০২১ সালে উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরিক্ষায় কালকিনি উপজেলার শশিকর শহীদ স্মৃতি মহাবিদ্যালয় থেকে অংশগ্রহণ করে বিজ্ঞান বিভাগে গোল্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছি। এর আগে আগৈলঝাড়া বারপাইকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি জিপিএ-৫, জেএসসি গাল্ডে জিপিএ-৫ সহ বৃত্তি পায় এবং পিএসতিতে বারপাইকা সরকারি প্রাথমীক বিদ্যালয় থেকে গাল্ডে জিপিএ-৫ সহ বৃত্তি পাই। আমার স্বপ্নছিলো আমি একজন ডাক্তার হবো কিন্তু অভাবের পরিবার কিভাবে মেডিকেলে ভর্তিহবো তাই নিয়ে চিন্তায় রয়েছি। আমার মনে হয় আর লেখাপড়া হবে না। এমন কথাগুলো বললো বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার রত্নপুর ইউনিয়নের বার পাইকা গ্রামের নিখিল চন্দ্র কর এর মেয়ে রিংকু কর। সে আরো বলে আমি এত প্রতিকুলতার মাঝে ভালো ফলাফর করে টাকার অভাবে উচ্চ শিক্ষার জন্য কোন বিশ্ব বিদ্যালয়ে বা মেডিকেল কলেজে ডাক্তার হবারজন্য ভর্তি হতে পারেবো না। আমার স্বপ্ন মনে হয় পূরণ হবে না।
মেধাবী শিক্ষার্থী রিংকু কর এর মা মনিকা রানি কর বলেন, আমার স্বামী দির্ঘদিন যাবত মাথায় খারাপ কোন কাজ করতে পারেন না। আমার কোন ছেলে নাই তিনজন মেয়ে স্কুল কলেজে পড়া লেখা করে আমাদের আয়ের কোন উৎসনেই আমি দিন মজুরে কাজকরে সংসার ও মেয়েদের লেখা পড়ার খরচ চালিয়ে আসছি। এখন বড় মেয়ে এইচএসসি বিজ্ঞান বিভাগে গোল্ডে জিপিএ-৫, এসএসসি জিপিএ-৫, জেএসসি গাল্ডে জিপিএ-৫ সহ বৃত্তি এবং পিএসতিতে গাল্ডে জিপিএ-৫ সহ বৃত্তিপেলেও তাকে মেডিকেলে ভর্তি করানো মতো অর্থ আমি কোথায় পাবো?