‘গুম অথবা হত্যা অথবা বিদেশে পাচারের শিকার’ এক সন্তানের জননী গৃহবধূ শারমিন সুলতানাকে ২০ মাস পর পুলিশ উদ্ধার করেছে। একই সাথে উদ্ধার করেছে ঘটনার রহস্য। মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে নারায়নগঞ্জ থেকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর সদস্যরা এক অভিযান চালিয়ে তাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরায় এনেছেন। এ বিষয়ে পিবিআই এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে বলা হয়, ২০২০ সালের ২০ জুন তারিখে সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোলের হামিজউদ্দিন হাওলাদারের মেয়ে শারমিন সুলতানাকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন অপহরণ করে হত্যা অথবা গুম অথবা পাচার করেছে। এমন অভিযোগে সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে একটি মামলা করেন পিতা হামিজউদ্দিন। এ বিষয়ে তদন্তের দায়িত্ব পেয়ে সাতক্ষীরা পিবিআইয়ের এসআই হাবিবুর রহমান সাতক্ষীরা থানায় একটি মামলা করেন। তবে এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার এসআই অপর্না বিশ্বাস শারমিন সুলতানাকে উদ্ধার করতে পারেননি। পরে পিবিআইয়ের এসআই মোর্শেদ আলম নারায়নগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানার একটি বাড়ি থেকে শারমিন সুলতানাকে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে উদ্ধার করেন এবং ঘটনার রহস্য উদঘাটিত হয়। তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোর্শেদ আলম জানান, উদ্ধার হওয়া নারী শারমিন সুলতানা আদালতে একটি জবানবন্দী প্রদান করে জানিয়েছেন, তিনি গুম হননি বা হত্যা অথবা পাচারও হননি। তাকে সুকৌশলে সরিয়ে রাখা হয়েছিল।
প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও বলা হয়, এ ঘটনায় শারমিন সুলতানার স্বামী ইটাগাছার হাবিবুর রহমান ও সাতক্ষীরার কুখরালি গ্রামের ফয়জুর রহমানকে আসামি করে মামলা হয়েছে।