মসলা জাতীয় ফসল হলুদ চাষেও লাভ বেশি। আর সে কারণে পেঁয়াজ বীজ উৎপাদনে সফল উদ্যোক্তা শাহীদা বেগম প্রথম বারের মতো উচ্চ ফলনশীল বারি হলুদণ্ড৪ চাষ করেও ফসল হয়েছেন। অল্প খরচে অধিক ফলন পাওয়ায় খুশি এই উদ্যোক্তা। আর এ হলুদ চাষে সহযোগিতা করেছেন মসলা গবেষণা উপ-কেন্দ্র ফরিদপুর।
সফল উদ্যোক্তা শাহীদা বেগম জানায়, বাড়ি পাশের আম বাগানের সাথি ফলস হিসাবে উচ্চ ফলনশীল বারি হলুদণ্ড৪ চাষ করেছিলাম।
পরিত্যক্ত এ জমিতে হলুদ চাষ করে সাফল্য পেয়েছি। খরচ নাই বললেই চলে। তবে হলুদ ক্ষেতের সঠিক পরিচর্যা করলে ফলন ভালো হয়। জমিতে হলুদ বপনের পর সামান্য সার ও আগাছা পরিস্কার করে রাখতে হয়। হলুদ বপনের পর পরিপক্ক হতে প্রায় ১ বছরের মতো সময় লাগে। এক বিঘা জমির আম বাগানে হলুদ, সার ও পরিচর্যা সবমিলে আমার খরচ হয়েছে ৮-১০ হাজার টাকা। এক বিঘা জমি থেকে আমি ৭০ থেকে ৮০মণ হলুদ পাবো বলে আসা করছি। মার্চ থেকে এপ্রিল মাসে হলুদের বীজ বপন করা হয়। আর ফেব্রুয়ারী মাসে তুলতে হয়। একই খরচে প্রচলিত হলুদের চেয়ে এ হলুদের উৎপাদন তিনগুণ বেশি হয়েছে বলে জানান এই উদ্যোক্তা।
এদিকে নতুন জাতের বারি হলুদণ্ড৪ কৃষকদের মাঝে চাষ জনপ্রিয় করতে মঙ্গলবার সদর উপজেলার অম্বিকাপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুরে মসলা গবেষণা উপ কেন্দ্র ফরিদপুর এক মাঠ দিবসের আয়োজন করে।
মসলা গবেষণা উপ কেন্দ্র ফরিদপুরের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো: আলাউদ্দিন খান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, বগুড়া মসলা গবেষণার মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো: মাজহারুল আনোয়ার।
মাঠ দিবসে অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ফরিদপুর সরেজমিন গবেষণা বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. সেলিম আহম্মেদ, মসলা গবেষণা উপ কেন্দ্র ফরিদপুরের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো: মুশফিকুর রহমান, কৃষিতে পুরস্কার প্রাপ্ত উদ্যোক্তা শাহীদা বেগম।
মাঠ দিবসে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু কৃষি পদক প্রাপ্ত কৃষক বক্তার হোসেন খান, আদর্শ কৃষক আলম ব্যাপারী সহ ৬০জন কৃষক-কৃষানী অংশগ্রহণ করেন।
মসলা গবেষণা উপ কেন্দ্র ফরিদপুরের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো: আলাউদ্দিন খান বলেন, বারি হলুদ -৪যা কৃষকরা এরইমধ্যে জমি থেকে তুলতে শুরু করেছেন। এ জাতের উচ্চ ফলনশীল হলুদ দেশের প্রচলিত জাতের হলুদের তুলনায় প্রায় তিনগুণ উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন। মানের দিক দিয়েও এ হলুদ প্রচলিত জাতগুলির চেয়ে ভালো। তিনি বলেন, এই হলুদ চাষ করে কৃষকরা যেমন অর্থিকভাবে লাভবান হবেন, তেমনি দেশও হলুদের চাহিদা পূরণে সক্ষম হবে।’