কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের পেড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সহিংসতায় নিহত ছাত্রলীগ নেতা শাকিল হোসেন (২২) হত্যার বিচারের দাবীতে সোমবার বিকেলে স্থানীয় শ্রীফলিয়া বাজারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানববন্ধনে এলাকার হাজার-হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, নিহত শাকিলের পিতা আবুল খায়ের, স্ত্রী রেজিয়া বেগম, শাকিল হত্যা মামলার বাদী গোলাপ হোসেন, পেরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ হামিদ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাবেক সভাপতি মজিবুর রহমান মজুমদার, খোরশেদ আলম, সাবেক ইউপি সদস্য মফিজুর রহমান, কাজী তাজুল ইসলাম, অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য হুমায়ুন কবির, ইউপি সদস্য মাহফুজুর রহমান, ছাত্রলীগ নেতা রবিউল হোসেন তালুকদার মিলন।
উপস্থিত ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন, আবুল কাশেম, সিরাজুল ইসলাম, মাঈন উদ্দিন, ইউনিয়ন আ.লীগ সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল, ইউপি সদস্য চাঁন মিয়া তালুকদার, ফরিদ আহম্মেদ, সাবেক সদস্য নাজির আহম্মদ মোল্লা, মিজানুর রহমান, মাস্টার আবুল বাশার, আ.লীগ নেতা হাফেজ কোরবান আলী, কামাল হোসেন নয়ন, জহিরুল ইসলাম প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ৮ডিসেম্বর বুধবার রাতে উপজেলার পেরিয়া ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী ও সাবেক চেয়ারম্যান এম এ হামিদের নির্বাচনী পথসভা চলাকালে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হুমায়ুন কবির মজুমদারের সমর্থকদের সাথে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে ছাত্রলীগ নেতা শাকিল হোসেন গুরুতর আহত হয়। আহত শাকিলকে প্রথমে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ৯ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। পরে ১২ ডিসেম্বর কুমিল্লার আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করে নিহতের চাচা গোলাপ হোসেন। মামলায় বাবুল গাজী মেম্বার, সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির মজুমদার, শোহরাব গাজী, সাহাব উদ্দিন, বজলের রহমান, রুবেল, শাহপরান, লিটন, আবদুস সাত্তার, কাউসার, মোর্শেদ রাজা, আবদুল মতিন, মাসুদ, মাঈন উদ্দিন, সোলাইমান, জসিম উদ্দিনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরো ৫০/৬০ জনকে আসামি করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা ছাত্রলীগ নেতা শাকিলের হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবী জানান।