কৃষি মন্ত্রনালয়ের আওতাধীন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া হর্টিকালচার সেন্টারের সুনির্দিষ্ট কর্মপকিল্পনা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। চারা কলম ও বীজ ফুল ফল উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। প্রতিদিনই দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভীড়ে সাজানো গুছানো পরিপাটি হর্টিকালচার সেন্টারটিতে পরিদর্শনে এসে ফুলের সৌরভে পুলকিত হচ্ছেন। কিশোরগঞ্জ জেলা শহরে প্রায় ৫ একর জায়গা নিয়ে প্রতিষ্ঠিত শোলাকিয়া হর্টিকালচার সেন্টারের উদ্যান তত্ত্ববিদ মোঃ আবদুস সালাম জানিয়েছেন জানায়ারী মাসে সরকারের রাজস্ব খাতে এ সেন্টারের থেকে রাজস্ব আয় এসেছে ৪ লাখ ৪৩ হাজার ২৭০ টাকা।
শোলাকিয়া হর্টিকালচার সেন্টারের বর্তমান উদ্যান তত্ত্ববিদ মোঃ আবদুস সালাম প্রতিষ্ঠানটিতে যোগদান করার পর বাগান সম্প্রসারণ ও দু পাশের ফল ও ফুলের বাগান স্থাপন এবং ফলের কর্ণার স্থাপন করে সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। কর্তৃপক্ষ পরিদর্শনে এসে তার এ কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। প্রতিষ্ঠানটিতে ১৭০ প্রজাতির ফলের কলম, ৫৪ জাতের ফুল ও শোভাবর্ধনকারী কলম,ফলের চারা শীতকালীন সবজী চারা, মসলা চারা,ওষুধী চারা, ২৫ প্রজাতির শোভাবর্ধনকারী ফুল চারা রয়েছে। হর্টিকালচার সেন্টারটির অর্থ বছরে সর্বমোট ৪৮ হাজার ৪৫০ বিভাগীয় লক্ষমাত্রার মধ্যে ৪৮ হাজার ২৭২ টি চারা উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে রেকর্ড তৈরী করেছে। এ ছাড়া মাঠে লাগানো কলম রয়েছে ১৮৫০টি। বিতরণ করা হয়েছে ৩৬ হাজার ৭০৫টি চারা। মজুদ রয়েছে ১১ হাজার ৫ শ ৬৭টি চারা।
দেশের ১৬ কোটি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরন ও পুষ্টি সমস্যা সমাধান, কৃষক ও উদ্যোক্তাদের চাহিদামাফিক সেবা প্রদানের লক্ষে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কৃষি মন্ত্রনালয়ের আওতাধীন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হর্টিকালচার সেন্টার, শোলাকিয়া, কিশোরগঞ্জ সুনির্দিষ্ট কর্মপকিল্পনা নিয়ে কাজ করছে। সেন্টারটি উদ্যান ফসল সম্প্রসারণ, মাতৃবাগান সৃজন, জার্মপ্লাজম সংরক্ষণ এবং মান সম্পন্ন বীজ, চারা, কলম উৎপাদন এবং সুলভ মূল্যে সরবরাহ করছে। বর্তমানের যেসব কার্যক্রম চলছে তারমধ্যে ফসলের পুষ্টি সমৃদ্ধ জাত সম্প্রসারণ,ফসলের স্থানীয় জাত সংগ্রহ, সংরক্ষন ও জাত উন্নয়নে এদের ব্যবহার ও সম্প্রসারণ, আধুনিক জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণে কৃষক ও কৃষাণী প্রশিক্ষণ, মহিলা উদোক্তা প্রশিক্ষণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।