বয়স ৭০বছরেরও বেশি। মানুষ দেখলেই শুধু ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে থাকেন। মনে হয় কিছু বলতে চান। তবুও নিরব। অনেকবার জানতে চাওয়ার পর শুধু স্বামী, সন্তান আর শশুরের নাম বললেন। সাথে থানা ও জেলার নামও। তবে নিজের নামসহ বিস্তারিত ঠিকানা বলতে পারছেন না। শুধু চেয়ে থাকেন অপলক দৃষ্টিতে। তার অবাক চাহনিতে যেন শুধু আপনজেন খোঁজ আর আপন ঠিকানায় ফেরার আকুতি।
বলছিলাম গত এক সপ্তাহ ধরে ঝিনাইদহের হরিণাকু-ু শহরের প্রিয়নাথ স্কুল এ- কলেজের বারান্দায় বসতি গড়ে তোলা এক অসহায় নারীর কথা।
স্থানীয়রা জানান, সপ্তাহ ধরে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বারান্দায় উঠেছেন ওই নারী। মাঝে মাঝে কেউ তার খবারের ব্যবস্থাও করছেন। তবে অধিকাংশ সময়ই তিনি নিজেই বাজারে গিয়ে পাউরুটি, বিস্কুট কিংবা কলা এনে তা দিয়েই ক্ষুধা নিবারণ করছেন কোনোমতে। প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় খবর পাননি কর্তৃপক্ষ। তবে বৃহস্পতিবার স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে সেখানে যান ওই প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও কয়েকজন শিক্ষক। তারা তার খাবারের ব্যবস্থা করেন। পাশাপাশি তার শারীরিক অবস্থা জানতে স্থানীয় একজন চিকিৎসককেও নেওয়া হয় সেখানে।
ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম বলেন, প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় আমরা আগে এই খবর পায়নি। তবে বৃহস্পতিবার সকালে খবর পেয়ে প্রতিষ্টানেই তার খাবারের এবং থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাকে তার আপন ঠিকানায় ফিরিয়ে দিতে চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে তিনি বিস্তারিত ঠিকানা বলতে পারছেন না।
এদিকে নিজের নাম কখনও জুনু আবার কখনও রাহেলা বেগম কখনও বা সাবিহা বলে জানাচ্ছেন এই অসহায় নারী। স্বামীর নাম হক মিস্ত্রি, ছেলের নাম তৈয়বুর রহমান আর শশুর গোলাম মহাজন। বাড়ি খুলনার বটিয়াঘাটা বলে তিনি জানান। এর বেশি আরও কিছু জানতে চাইলে শুধু অসহায় দৃষ্টিতে চেয়ে থাকেন সত্তোরর্ধ এই নারী। তার খোঁজ পেতে ০১৭২১৮৪৬৪২৩ নাম্বারে যোগাযোগ করুণ।