চট্টগ্রামের হাটহাজারীর নাঙ্গলমোড়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডে গত বুধবার দুপুরে ভযাবহ অগ্নিকা-ে ছয় পরিবার একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেছে। ইউনিয়নের আবুল হোসেন সওদাগরের বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে।এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান প্রাথমিকভাবে বিশ লক্ষাধিক টাকা হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। রান্না ঘরের চুলা থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্র হয়েছে বলে জানা গেছে।
স্হানীয়, প্রত্যক্ষদর্শী, অগ্নিদুর্গতদের পারিবারিক ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার দুপুরে ওই এলাকায় হঠাৎ অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়ে আগুনের লেলিহান শিখা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এতে এই বাড়ির শফিউল আলম, জানে আলম, জাহাঙ্গীর আলম, নবী আলম, মোঃ আলমগীর ও বিধবা মনোয়ারা বেগমের বসত ঘরসহ ঘরে রক্ষিত যাবতীয় মালামাল আগুনে পুড়ে যায়।
সংবাদ পেয়ে হাটহাজারী ফায়ার সার্ভিসের দুটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিদুর্গতরা খোলা আকাশের নীচে মানবেতর জীবনযাপন করছেন বলে প্রাপ্ত সংবাদে প্রকাশ।৫ নং নাঙ্গলমোড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ হারুন অর রশীদ জানান, বুধবার দুপুরে ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড রান্না ঘরের চুলা অসাবধানতা বসত অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়ে ৬ পরিবার একেবারে নিঃস্ব হয়ে যায়। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান আনুমানিক ২০ লক্ষাধীক টাকা হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। সংবাদ পেয়ে তিনি অগ্নিদুর্গত তাৎক্ষণিক অগ্নিকা-ে ক্ষতিগ্রস্হদের দেখতে ছুটে যান বলে গণমাধ্যমকে জানান। তিনি বলেন সংবাদ পেয়ে হাটহাজারী থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্হলে পৌঁছালে ও আশপাশে পানির সংস্হান না থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে তাদের সীমাহীন বেগ পেতে হয। তিনি তাৎক্ষনিক ব্যক্তিগতভাবে অগ্নি দূর্গত প্রতি পরিবারকে ২৫ কেজি চাউলসহ কিছু খাদ্য সামগ্রী প্রদান করেন।
এ ব্যাপারে হাটহাজারী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা মোঃ শাহজাহান জানান, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফায়ার সার্ভিসের দুটি টিম চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তাদের হিসাবে প্রায় ৭লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাতে ঘটনাস্থলে ছুটে যান। এই সময় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দূর্গতদের কিছু কম্বল ও প্রতি পরিবারকে ২৫ কেজি করে চাউল প্রদান করেন। তাছাড়া ভবিষ্যতে আরো সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।