ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর -কোম্পানীগঞ্জ সড়কের দুই পাশের গাছে গাছে পেরেক ঠুকে লাগানো হয়েছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পণ্যের বিজ্ঞাপন ও রাজনৈতিক নেতাদের ব্যানার-ফেস্টুন। এতে সড়কের গাছগুলো ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। মরে গেছে অনেক গাছ।
শুক্রবার নবীনগর পৌর সদর, নবীনগর-সলিমগঞ্জ, নবীনগর-শিবপুর-রাধিকা সড়ক, নবীনগর মহেশ রোড,নবীনগর-বড়াইল সড়কসহ বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, সড়কের পাশের গাছে গাছে ঝুলছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রচারণার অসংখ্য ফেস্টুন তার সাথে কয়েকজন রাজনৈতিক নেতারও রয়েছে, বিশেষ করে আওয়ামী লীগ নেতা ব্যারিস্টার নজরুল ইসলাম নবীর ফেস্টুন প্রতিটি গাছে রয়েছে। ফেস্টুনগুলো পেরেক দিয়ে গাছে আটকানো হয়েছে। গাছে পেরেক লাগানোর কারণে গাছের গায়ে যে ছিদ্র হয়ে তা দিয়ে পানি ও এর সঙ্গে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক ও অণুজীব ঢোকে। এতে গাছের ওই জায়গায় পচন ধরে একসময় গাছটি মরে যায়।
এলাকাবাসী ও পথচারীরা বলেন, ‘সড়কের পাশের প্রতিটি গাছে নির্বিচারে পেরেক লাগানোর কারণে সড়কের শতাধিক গাছ মরে গেছে। গাছে পেরেক মারা বন্ধ না হলে বাকি গাছগুলোও মরে যাওয়ার ঝুঁকিতে পড়বে এবং মরা গাছের ডাল ভেঙ্গে রাস্তায় পরে বিভিন্ন সময় মুত্যুসহ ঘটে নানান দূর্ঘটনা। গাছ থেকে সকল ব্যানার ,ফেস্টুন ও সাইনবোর্ড দ্রুত সময়ের মাঝে সরানোর জন্য প্রশাসনের পদক্ষেপ দাবী করছি।র্
স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিম বুলবুল বলেন, প্রাণিকুলের বেঁচে থাকার জন্য প্রধান উপাদান গাছ। এই গাছের যে প্রাণ আছে, অনুভূতিশক্তি আছে, তা প্রমাণিত। তবে গাছের বাকশক্তি নেই। গাছ সবকিছু বিলিয়ে দিয়ে আমাদের জীবন বাঁচিয়ে রাখছে। উপকারের প্রতিদান হিসেবে গাছে পেরেক মেরে মানুষ তার প্রতিদান দিচ্ছে। আমাদের বিবেককে জাগ্রত করা এবং এইসব ব্যানার- ফেস্টুন গাছ থেকে দ্রুত অপসারণ করা দরকার।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) একরামুল ছিদ্দিক বলেন,নবীনগর উপজেলার বিভিন্ন সড়কের পাশে গাছে পেরেক মেরে যে সকল স্থানে ব্যানার-ফেস্টুন ও বিজ্ঞাপনের সাইনবোড টানানো হয়েছে, সেগুলো আগামী কয়েক দিনের মধ্যে অপসারন করা হবে।