যশোর- চুকনগর সড়ক প্রশস্তকরন প্রকল্পের কেশবপুর শহরের ট্রাক টার্মিনাল অংশে অধিগ্রহন না করেই ব্যক্তিগত সম্পত্তি জবর দখল করে জোরপূর্বক রাস্তা নির্মান করার অভিযোগ উঠেছে। একাধিক ভুক্তভোগীরা সরকারী নিয়ম মেনে রিকুইজিশন করে নায্য পাওনা পরিশোধ করে তাদের জমি নেয়ার দাবি জানিয়েছেন।
শতাধিক জমির মালিক ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হলেও ভয়ে অনেকে মুখ খুলতে পারছেন না। নিরুপায় হয়ে ভুক্তভোগী ১১ জমির মালিক বৃহস্পতিবার যশোরের জেলা প্রশাসক ও সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌলীর নিকট লিখিত আবেদন করেছেন।
লিখিত আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, যশোরের রাজারহাট থেকে কেশবপুর হয়ে চুকনগর পর্যন্ত মহাসড়ক প্রশস্তকরণের কাজ চলমান আছে। কেশবপুর বাজারের উত্তর মাথায় অবস্থিত ব্রিজ থেকে তেল পাম্প পর্যন্ত মাটি ভরাটের কাজ করা হচ্ছে। সড়কের প্রকৃত সীমানা নির্ধারণ না করে সড়ক প্রশস্ত করনের কাজ করতে অনুরোধ জানালেও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও সড়ক ও জনপথ বিভাগের দায়িত্বরতরা সেটা করছেন না। এমনকি জমি অধিগ্রহন না করেই জোরপূর্বক ব্যক্তিমালিকানা জমিতে মাটি ভরাট করে সড়ক প্রশস্তশরণের কাজ চলমান রেখেছে। এছাড়াও তাদের ইচ্ছামত ব্যক্তিগত জমির স্থাপনা বাধা দিলেও উচ্ছেদ কাজ চালাচ্ছে। সরকার এই জমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে নিতে চাইলে আমাদের কোনো আপত্তি থাকবে না। অধিগ্রহণ বা মূল্য পরিশোধ ছাড়াই ভরাট কার্যক্রম বন্ধের দাবিতে জমির মালিকরা যশোরের জেলা প্রশাসক ও সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন।
প্রাপ্য মূল্য পরিশোধ ছাড়াই ব্যক্তিগত জমিতে রাস্তা নির্মাণের মাধ্যমে তিলে তিলে গড়া সম্পত্তি বেহাতের আশঙ্কায় নির্ঘুম রাত কাটছে এ এলাকার জমির মালিকদের। এ বিষয়ে তারা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্র্তপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি, যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
যশোর সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, যশোর-চুকনগর সড়কটির দৈর্ঘ্য ৩৮ দশমিক ২৬৫ কিলোমিটার। ফোর লেনে উন্নত করণে সরকার ২০১৯ সালের ৫ নভেম্বর একনেকের সভায় ৩শ’ ৬৬ কোটি ২৮ লাখ টাকার প্রকল্পটি পাশ হয়। সড়কটিতে নতুন করে ভিত নির্মাণের মাধ্যমে দুই লেনে ১০.৩০ মিটার বা ৩৪ ফুটে উন্নীত করার প্রকল্প একনেকে পাস হয়। প্রকল্পটির কাজের দায়িত্ব পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যশোরের ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড।