আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি সীতাকু-ে ঐতিহ্যবাহী শিব চতূদর্শী মেলা শুরু হবে। এবারের মেলায় পূনার্থীদের তিথি শুরু হবে ২৮ ফেব্রুয়ারি রাত ২টা ৫০ মিনিট ৪৪ সেকেন্ডে শেষ হবে ১লা মার্চ রাত ১টা ৭মিনিট ৪৭ সেকেন্ডে।
শুক্রবার দুপুরে শিব চতুদর্শী মেলার সার্বিক ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম নিয়ে সীতাকু- প্রেসক্লাব কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন স্রাইন কমিটি ও মেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ। এ সময় লিখিত বক্তব্যে মেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক পলাশ চৌধুরী বলেন, আগামী ২৮ ফেব্রয়ারী হতে ১- ২ রা মার্চ পর্যন্ত তিনদিন ব্যাপী কলিযুগের সব চেয়ে বড় ও প্রধান ঐতিহ্যবাহী সনাতন সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব শিব চতুর্দশী মেলা এবং ১৭-১৮ মার্চ দোল পূর্ণিমা মেলা অনুষ্ঠিত হবে। এ সময় দেশ ও বিদেশ থেকে পূণ্যার্থীরা পূণ্য লাভের আশায় চন্দ্রনাথ ধামে প্রতি বছর তীর্থ দর্শন করতে ছুটে আসে লাখ লাখ ধর্মাবলম্বী নর-নারী। কথিত রয়েছে একজন হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষ পৃথিবীর সব তীর্থস্থান দর্শন করলেও অন্তত একবার যদি সীতাকু-ে তীর্থ ভূমি দর্শন না করে তাহলে তার তীর্থ দর্শন সম্পূর্ণ হয় না। এবারের মেলায় মূল তিথি শুরু হবে সোমবার। আর সোমবার আমাদের মহাদেবের জন্মদিন। তাই এবারের মেলায় বিগত দিনের মেলার চেয়েও অধিক সংখ্যক পূনার্থীর আসবে বলে আমরা ধারণা করছি। মেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, মেলাকে ঘিরে তীর্থ যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য উপজেলা প্রশাসন, র্যাব,পুলিশ আনসার বিডিবি ও সংশ্লিষ্ঠ অন্যান্য সংস্থার মেলা চলাকালীন সময় সার্বক্ষনিক সহাযোগীতা করবেন। আইনশৃখলা নিয়ন্ত্রনে সকল রকম নিরাপত্তা গ্রহন করা হয়েছে। এ সময় স্রাইনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বক্তব্য রাখেন চন্দ্রনাথ ধাম স্রাইন কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট চন্দন দাশ। তিনি বলেন, আমি আপনাদের সহযোগিতায় সীতাকু-ের এই শিব চতূদর্শী মেলার ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। ইতোমধ্যে ব্যাসকু-ে মেলায় আগত পূনার্থীদের সুবিধার্ধে পুকুর পাড়ের চতূদিকে সিঁড়ি স্থাপন ৩২টি টয়লেটসহ বিভিন্ন মঠ-মন্দির সজ্জিতকরণসহ নানাবিধ উন্নয়ন করেছি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্রাইন কমিটির সহ সভাপতি প্রেমতোষ দাস,গোপাল পাল,কমিটির অতিরিক্ত সচিব সমির শর্মা,অর্থ সম্পাদক পিন্টু ভট্টাচার্যসহ স্রাইন কমিটি ও মেলা কমিটির নেতৃবৃন্দরা।