দেবহাটা রিপোটার্স ক্লাবে সাবেক সেনা সদস্যের জমি জোরপূর্বক দখল ও হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল ১১ টায় রিপোটার্স ক্লাবে ওই সংবাদ সম্মেলনটি করেছেন সাতক্ষীরা সদরের বৈচনা গ্রামের মৃত আবদুল বারী শাহের ছেলে সাবেক সেনা সার্জেন্ট হাসানুজ্জামান (বাবলু)। রিপোটার্স ক্লাবে সভাকক্ষে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, পূর্বপুরুষের রেখে যাওয়া সম্পত্তি তার পিতা মৃত আবদুল বারী শাহ ও চাচা আবদুর রহমান পারিবারিক বন্টননামার মাধ্যমে ১৯৮৮ সাল থেকে উভয় ভোগদখল করে আসছে। ১৯৯৪ সালে তার পিতা শারিরিক অসুস্থতা অনুভব করলে তাদের অংশের সম্পত্তি নিজেদের মধ্যে বন্টন করা হয়। তাদের অংশে গর্ত, ডোবা ও পুকুর সহ পতিত জমি হওয়ায় সেখানে চাষাবাদ ও কোন প্রকার বর্গা দিতে পারিনি। ২০১০ সাল হতে প্রায় ৭ বছর ধরে তারা ঐ জমিতে নিজেদের অর্থ খরচ করে ভরাট দিয়ে স্থাপনা নির্মানের উপযোগী করেন। পরে সেখানে স্থাপনা নির্মানের কাজ শুরু করা হয়। অন্যদিকে তার চাচা তার অংশে চাষ ও বর্গা দিয়ে সার্বিক সুবিধা নিয়ে আসছেন। কিন্তু গত ৫-৬ মাস আগে তাদের স্থাপনার জায়গা তার (চাচার) বলে দাবি করেন তার চাচা। এমন অবস্থায় মিমাংসার কথা বললে তিনি উল্টো তাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ এনে হয়রানি করতে থাকেন। এরপর তার পুত্র জুলফিকার আলি জিন্নাহ তাদের নামে বিভিন্ন জায়গায় ৫/৬টি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন। বিষয়টি নিয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় বসাবসি হলে অফিসার ইনচার্জ বিষয়টি নিয়ে মিমাংশা করে দেন। কিন্তু কিছুদিন পর তারা আবারো নতুন করে হয়রানি শুরু করেছেন। হাসানুজ্জামান বাবলু বলেন, তার চাচাদের হয়রানি ও অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে তিনি সাতক্ষীরা এডিএম আদালতে একটি মামলা করেন। যার নং- পি১২৬৯/২১। মামলা করায় তারা তার বিরুদ্ধে ১৪৫ ধারা মতে পি-৩৯/২২ মামলা দায়ের করে। যার ধার্য দিনের আগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২২ ইং তারিখ সকাল ৮ টার দিকে মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলযোগে প্রায় ৫০-৬০ জনের দল অস্ত্র নিয়ে তাদের জমিতে এসে তাদের হুমকি দিতে থাকে। এমনকি তাদের বিভিন্ন গাছ কেটে এবং স্থাপনা ভেঙ্গে ক্ষয়ক্ষতি করে। তার চাচার ছেলে জুলফিকার আলি জিন্নাহ’র নেতৃত্বে আসা সন্ত্রাসীরা আদালতের ধার্য দিনের আগে আইনকে অবমাননা করে আমাদের খুন, জখম হুমকি ও ক্ষতি সাধন করে। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, তার চাচাতো ভাই নিজেকে কখনো শিক্ষক, কখনো সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে মানুষকে হয়রানি করে আসছে। তিনি তাদের ওই হয়রানি ও অত্যাচার থেকে রেহাই পেতে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।