অসহায়দের পাশে এসে দাঁড়ালেন গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুজ্জামান নয়ন।
উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামের হতদরিদ্র মজনু মিয়ার মেয়ে মিম আক্তার। গত বছর সে পলাশবাড়ী সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় এ প্লাস পেয়ে পাস করেন। এরপর মিম ভর্তি হয় ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। কিন্তু সেখানকার খরচ চালাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন দরিদ্র অসহায় বাবা মজনু। বিষয়টি জানতে পেরে শিক্ষাবান্ধব উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুজ্জামান নয়ন সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে নিজ কার্যালয়ে ডেকে মিমের মায়ের হাতে এককালীন ১০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন ইউএনও মো. কামরুজ্জামান। চেক প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম মোকছেদ চৌধুরী বিদ্যুৎ ও ভাইস-চেয়ারম্যান এএসএম রফিকুল ইসলাম মন্ডল রিপন।
এদিন মিমের মতো আরো অসহায় তিনটি পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন ইউএনও কামরুজ্জামান নয়ন।
পলাশবাড়ী পৌরশহরের গৃধারীপুর এলাকার পঙ্গু হাসান মিয়া। তিনি হাঁটতে পারেন না। হুইল চেয়ার তার চলার পথের সাথী। আরেকজন হলেন কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের পশ্চিম রামচন্দ্রপুর গ্রামের নয়ন কুমার সাহা। তিনি শারীরিক প্রতিবন্ধী। কাজকর্ম করতে পারেন না। অপরজন মহদীপুর ইউনিয়নের আমলাগাছী গ্রামের বাসিন্দা চন্দ্র দাস। টাকার অভাবে দরিদ্র এ বাবা তার দ্বিতীয় মেয়ের বিয়ে দিতে পারছিলেন না।
চিকিৎসার জন্য হাসান মিয়াকে ৫ হাজার ও নয়ন কুমার সাহাকে ১৫ হাজার টাকা এবং চন্দ্র দাসের মেয়ের বিয়ের জন্য ৫ হাজার টাকার চেক তাঁদের হাতে তুলে দেন ইউএনও মো. কামরুজ্জামান নয়ন।
পলাশবাড়ীর ইউএনও মো. কামরুজ্জামান নয়ন বলেন, হতদরিদ্র এ পরিবারগুলোর দুঃখ-কষ্টের কথা জানতে পেরে তাঁদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এই টাকা তাঁদের অনেক উপকারে আসবে।
উল্লেখ্য; এ দম্পতির প্রথম পুত্র আবুল বাশার মো. নাসিম নিশাত পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্স এ- ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ বর্ষে এবং একমাত্র কন্যা কানিজ রাবেয়া ন্যান্সি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্স এ- ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে অনার্স শেষ করে মাষ্টার্স প্রথম বর্ষে অধ্যয়নরত।