হোমনায় নির্বাচনী সহিংসতায় জয়পুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি মো. সোহাগের ওপর অত্যাচর নির্যাতনের প্রতিবাদ ও বিচার দাবিতে সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন করেছে ৯নং জয়পুর ইউনিয়নের পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন ধনুা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বর্তমান চেয়ারম্যান তাইজুল ইসলাম মোল্লা ও তার কর্মী-সমর্থককে দায়ী করা হয়। শনিবার সন্ধ্যায় জয়পুর ইউনিয়নের রাজাপুর রাজবাজারে দেলোয়ার হোসেন ধনুর স্থানীয় রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নেরও উত্তর দেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও অভিযোগে করে বলেন, সোহাগ একজন রেন্ট-এ কারের চালক ও জয়পুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি। গত বৃহস্পতিবার তিনি রাত একটার দিকে মালিকের বাড়িতে গাড়ি রেখে মোটর সাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে চেয়ারম্যানের সন্ত্রাসী বাহিনী তার ওপর অতর্কিত হামলা করে। চেয়ারম্যানের ভাতিজা ফরহাদ ও ফয়সালসহ শফিক, মনির, শাহ পরান, গিয়াস উদ্দিন, হালিম পাটোয়ারী, আনোয়ার সোহাগের পথরোধ করে আটকে একটি বাসায় নিয়ে তাকে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙ্গে মারাত্মকভাবে আহত করে। তাকে ছাড়াও মো. রমজান, মো. মোসলেম, রূপ মিয়া, মামুন, ছোটনসহ এগারো জন কর্মী-সমর্থককে বিভিন্ন সময়ে মারধর করেন। বর্তমানে সোহাগ ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত যুবলীগের সাবেক সভাপতি নেতা মনোয়ার হোসেন জানান, পঙ্গু পিতা, অন্ধ মা, স্ত্রী, সন্তান, প্রতিবন্ধী এক ভাইসহ পাঁচ ভাই বোনের সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম সেহাগ হাসপাতালে সয্যাশায়ী হওয়ায় তার পরিবারে নেমে এসেছে ঘোর অমানিশা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী পারুল আক্তার, জয়পুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি মনোয়ার হোসেন, মোরতুজা হোসেন মেম্বার, সাবেক ইউপি মেম্বার ইলিয়াস, আবদুল আজিজ, সাইফুল ইসলাম খন্দকার প্রমুখ।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান তাইজুল ইসলাম মোল্লা বলেন, নির্বাচনে হেরে ধনু আমার পেছনে লেগেছে। আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে মিথ্যা ও বানোয়াট কল্পকাহিনী বলে বেড়াচ্ছেন।