চট্টগ্রামের সীতাকু-ে বাড়বকু- এলাকায় কে.এস.আর.এম নামে এক কারখানার মালিকের বিরুদ্ধে রাতের আঁধারে মাটি ভরাট করে ছড়া ও কবরস্থান দখলের অভিযোগ করছে স্থানীয়রা। জনস্বার্থে হুমকি তাদের এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে গ্রামবাসী ভয়ে প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছেনা।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, সীতাকু- উপজেলার বাড়বকু- ইউনিয়নে আনোয়ারা জুট মিলের উত্তরে সেবা ফিলিং স্টেশনের পাশে অবস্থিত কে.এস.আর.এম নামে একটি কারখানার মালিক গত বৃহস্পতিবার থেকে রাতের আঁধারে আম্বিয়াঢালা ছড়া ও কবরস্থান দখল করে মাটি ভারাট করছে। গ্রামবাসীরা আশঙ্কা প্রকাশ করছে, পানি নিষ্কাশনের একমাত্র এ ছড়া ভরাটের কারণে আগামী বর্ষার মৌসুমে জলাবদ্ধতা সহ পাহাড়ী ঢলের পানিতে পুরো এলাকা প্লাবিত হতে পারে। কৃষকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আনায়ারা জুট মিল থাকাকালীন স্থানীয় বাসিন্দারা আনোয়ারা জুট মিল সংলগ্ন আম্বিয়া সড়ক দিয়ে হেঁটে গিয়ে পাহাড়ের বিস্তৃত এলাকায় সবজি ও কৃষি কাজ করে সংসার চালাতা। তাছাড়া এ এলাকায় রেললাইনের পাশে থাকা রেলওয়ের বিশাল জায়গা ও মহাসড়কের সওজ এর জায়গা গুলোতে কৃষকেরা সিম, বরকটি, ঝিঙ্গা ও করলা সহ নানান সবজি চাষ সহ কৃষি কাজ করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করতো। কিন্তু কে.এস.আর. এম কারখানার মালিক কিছুদিন পূর্বে আনায়ারা জুট মিলস ক্রয় করার পর থেকে এক এক করে পাহাড়, রাজা আম্বিয়াঢালা সড়ক, রেলওয়ের জমি এবং সওজ এর জায়গা গুলো দখল করে নেয়। সর্বশেষ এবার রাজা আম্বিয়াঢালা ছড়া ও কবরস্থান দখল করতে রাতের আঁধারে মাটি ভরাটের কাজ করছে। তাদের এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে স্থানীয়রা ভয়ে প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেনা। গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে শতাধিক লোক নিয়ে ৮/১০ টি ড্রাম ট্রাকে করে একটি শিপ ইয়ার্ড থেকে মাটি এনে শত বছরের পুরনো এ বিশাল ছড়া ও কবরস্থান দখল করে কারখানা স্থাপনের জন্য মাটি ভরাটের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কে.এস .আর .এম কারখানার স্ট্রেট অফিসার কামাল হোসেন ছড়া ও কবরস্থান দখলের বিষয়টি অস্বীকার করেন। সীতাকু- উপজেলা নিবার্হী অফিসার মোঃ শাহাদাত হোসেন বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান।