বাগেরহাটের শরণখোলায় শতাধিক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসায় শহীদ মিনার নেই। শিক্ষক, অভিভাবক ও স্কুল ম্যানেজিং কমিটির নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে দীর্ঘদিন ধরে শহীদ মিনার নির্মাণের দাবী জানালেও তা আজও বাস্তবায়ন হয়নি। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসটি পালনে শহীদের স্মরণে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কলাগাছ ও মাটি দিয়ে প্রতিকী শহীদ মিনার তৈরী করে শিক্ষক শিক্ষার্থীরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে খেলার মাঠ নষ্ট না করে দর্শনীয় এক পাশে স্থানীয়ভাবে শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের পক্ষথেকে শিক্ষা অফিসে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন ও জাকির হোসেন জানায়, উপজেলার ১১৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রয়েছে। তার মধ্যে ৭/৮ টি স্কুলে শহীদ মিনার রয়েছে। বাকী স্কুলে শহীদ মিনার নেই। বাঙালী জাতির অস্তিত্ব শহীদ স্মৃতিস্তম্ব নির্মাণ না হওয়ায় দীর্ঘ বছর ধরে অনেক বিদ্যালয় মহান এ দিবসটি পালনের লক্ষ্যে কলাগাছ বা মাটি দিয়ে প্রতিকী শহীদ মিনার তৈরী করে শিক্ষক শিক্ষার্থী এবং ম্যানেজিং কমিটির সদস্যবৃন্দ শহীদের স্মরণে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। উপজেলা স্কাউস্ট কমিশনার প্রধান শিক্ষক মোঃ সরওয়ার আলম, উপজেলার আলোচিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ১০৫নং খোন্তাকাটা ইউনাইটেড সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদ আহম্মেদ ও শিক্ষক নেতা মিজানুর রহমান বলেন, ভাষা শহীদদের স্মরনে বর্তমান প্রজন্মের সামনে দিবসটির গুরুত্ব তুলে ধরতে সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সরকারি ভাবে শহীদ মিনার স্থাপন জরুরী হয়ে পড়েছে। তারা জরুরী ভিত্তিতে শহীদমিনার নির্মাণের দাবী জানান।
শরণখোলায় ৫নং আমড়াগাছিয়া, ২নং ধানসাগর নলবুনিয়া, ২৮ নং চালিতাবুনিয়া, ৩৪ নং বানিয়াখালী ইউনাইটেড, ৫২ নং বকুলতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শহীদ মিনার রয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
শরণখোলা উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার বিধান চন্দ্র রায় বলেন, শরণখোলায় ৭/৮ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে খেলার মাঠ নষ্ট না করে দর্শনীয় এক পাশে স্থানীয়ভাবে শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ থেকে শিক্ষা অফিসে চিঠি পাঠানো হয়েছে। শহীদ মিনার নির্মাণের চেষ্টা চলছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ নুরুজ্জামান খান বলেন, উপজেলায় ২০ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ১৬ টি মাদ্রাসা রয়েছে। এর মধ্যে ৪/৫ টি প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার আছে। যে সব প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই তার তালিকা মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে। সরকারি ভাবে শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে।
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আজগর আলী এফএনএসকে বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণের বিষয়টি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এ ব্যাপারে খোঁজ খবর নিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।