বাগেরহাটের মোল্লাহাটে থানা পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন এলাকা থেকে উদ্ধার হয়েছে হাজারোধিক ঢাল, কয়েক হাজার সড়কী, ফুলকচি, রামদা, চাইনিজ কুঠাড় ও চাপাতিসহ বিপুল পরিমাণ কাইজার সরঞ্জাম। একই সাথে মূল হোতাদের ধরে থানায় এনে কাইজা না করার শর্তে মুচলেকায় মুক্তি দেয়া এবং কতক ব্যক্তিকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। যে কারণে কাইজা/হানাহানিমুক্ত পরিবেশ পেয়ে স্বস্তিতে আছে সাধারণ মানুষ। কাইজা বিরোধী পুলিশের এমন উদ্যোগের কারণে একাধিক প্রাণ রক্ষা পেয়েছে। অন্যথায় স্বস্তির পরিবেশ সৃস্টি সম্ভব হতো না বলেও জানান বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। মোল্লাহাট থানা অফিসার ইনচার্জ সোমেন দাশ অত্র থানায় যোগদান করার পর তার নেতৃত্বে গত ৭ মাসের পুলিশি অভিযানে এসব সম্ভব হয়েছে বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন তারা।
গত ৯ ফেব্রুয়ারী উপজেলার ঘোষগাতী এলাকা থেকে কাইজার সরঞ্জাম তৈরি কালে বেশ কিছু ঢাল ও সড়কী উদ্ধার করে। একই সাথে ওই ঢাল-সড়কী তৈরীর মূলহোতা কেরামত আলী শেখের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে চাইনিজ কুঠাড় ও চাপাতী উদ্ধার করে। এর মাত্র এক সপ্তাহ পূর্বে ওই ঘোষগাতী ও ঘাটবিলা এলাকায় বিবাদমান দুই পক্ষ কাইজার জন্য মূখোমুখি হলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণসহ প্রায় শতাধিক ঢাল ও সড়কীসহ বিভিন্ন প্রকার সরঞ্জাম উদ্ধার করে। এভাবেই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে কাইজার সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। ফলে স্বস্তির পরিবেশ পেয়েছে সাধারন মানুষ।
বড়য়াট এলাকার ব্যাবসায়ী ইলিয়াস শেখ, ব্যাবসায়ী ও সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ ইসমাইল শেখ ও কৃষক আজাদ শেখসহ বেশ কতক ব্যক্তি বলেন, প্রায় অর্ধশত মামলার আসামি কিরামত শেখের বাড়ি থেকে কাইজার সরঞ্জাম উদ্ধার করছে পুলিশ। এরপর থেকে সে আত্মগোপন করায় এলাকার মানুষ স্বস্তিতে আছে। এর বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানান তারা।
মোল্লাহাট থানা অফিসার ইনচার্জ সোমেন দাশ বলেন, থানা এলাকার মানুষের জান-মাল ও শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় তার পুলিশ বদ্ধ পরিকর।