নকল স্বর্ণের বার দেখিয়ে প্রতারণার অভিযোগে ময়মনসিংহে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৪। গ্রেফতারকৃতরা হলো- ময়মনসিংহ সদরের হরিরামপুর এলাকার বাদল চৌহান (৪৭), দীঘারকান্দার ফেরদৌস (৩০)। এ সময় তাদের কাছ থেকে নকল দুটি স্বর্ণের বার, মোবাইল ও প্রতারনার কাজে ব্যবহৃত সিএনজি উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে র্যাব-১৪ এর সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসাইন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানান, গত সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারী) দুপুর ২ টার দিকে রোকসানা (৪২) নামে এক নারী সিএনজি যাত্রী প্রতারক চক্রের খপ্পরে পরে। এ সময় ঐ নারীর কাছ থেকে প্রতারক চক্র নকল স্বর্ণের বার দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে নগদ টাকা, স্বর্ণালংঙ্কার ও মোবাইল নিয়ে নেয়।
ভোক্তভোগী রোকসানা তার বাবার বাড়ী ময়মনসিংহের কৃষ্টপুর থেকে স্বামীর বাড়ি ফুলপুরের গোমগাও যাওয়ার জন্য নগরীর ব্রীজ মোড় থেকে সিএনজিতে উঠে। এ সময় আগে থেকেই চার প্রতারক সিএনজিতে বসা ছিলো। সিএনজিটি কিছুদূর যাওয়ার পর প্রতারক চক্রের একজন রোকসানাকে তিন ভরি ওজনের দুটি নকল স্বর্ণের বার দেখায়। এ সময় নকল বার দুটি নেওয়ার জন্য রোকসানাকে তারা নানাভাবে প্রলুব্ধ করে। পরে রোকসানা বার দুটি নিয়ে বিনিময়ে তার কানের দুটি স্বর্ণের দুল, গলার আট আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন ও একটি মোবাইল ফোন প্রতারকদের দিয়ে দেয় (যার আনুমানিক মূল্য ৬০ হাজার টাকা)।
কিছুক্ষন পর রোকসানা বুঝতে পারে স্বর্ণের বার দুটি নকল। পরে রোকসানা তার দেওয়া জিনিসগুলো ফেরত চায়। ততক্ষনে প্রতারক চক্রের সদস্যরা শম্ভুগঞ্জ এতিমখানা মোড়ে পৌঁছাইলে সিএনজি থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় রোকসানার ডাক চিৎকারে স্থানীয়দের সহয়োগীতায় ও পাশে থাকা র্যাবের একটি টহল দল দুই প্রতারককে আটক করে। বাকি দুই প্রতারক রোকসানার মালামালসহ কৌশলে পালিয়ে যায়। গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন এলাকায় স্বর্ণের সাদৃশ বার দিয়ে প্রতারণার কথা স্বীকার করেছে। এই ঘটনায় ভোক্তভোগী রোকসানা আসামীদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেছে। আসামীদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।