সোমবার সকালে লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ফেরার পথে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় উপজেলা যুবদলের সভাপতি শফিকুল আলম আলমাসসহ বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের ৫৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১৫০ জনকে আসামি করা হয়। সোমবার রাতে রায়পুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জুম্মান সুলতান বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে সহেল ঢালী (২৮) ও মো: ইব্রাহীম খলিল (৪২) নামের বিএনপির দুই কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২১ ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে স্থানীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে আসার সময় অশ্লীল স্লোগান দেয় বিএনপি’র সমর্থকরা। এ সময় যুবলীগ নেতা তারেক আজিজ জনি সহ দলীয় কর্মীরা শহীদ মিনার থেকে ফিরছিলেন। এনময় বিএনপি নেতা-কর্মীদের অশ্লীল স্লোগানের প্রতিবাদ করতে গেলে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। পরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে ফয়সাল আজিম, জুম্মান, মুরাদ, ইসমাইল, নিলয় বাঙ্গালী, মিরাজ, এমরান, শিমুল, আলাউদ্দিন, সোহেল, সজিব, হৃদয়, সুমন, মুরাদ, রিয়াজ, মিরন, শান্ত, সুজন পাটওয়ারী, কাউছার, রাজীব ও সাংবাদিক এসকে সোহেলসহ উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন। পরে আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে এসেও ফের সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ নিয়ে হলরোড ও বাসস্টেশন এলাকায় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকালে রায়পুর উপজেলা পরিষদসংলগ্ন শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে বিএনপির নেতা-কর্মীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আপত্তিকর স্লোগান দেন। এ সময় যুবলীগের নেতাকর্মীরা প্রতিবাদ জানালে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জুম্মান সুলতানসহ যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীরা আহত হন।
জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির সভাপতি মনিরুল ইসলাম হাওলাদার উল্টো অভিযোগ করে বলেন, ‘কোনো কারণ ছাড়াই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা মিছিলে হামলা ও লাঠিপেটা করেছেন। এ ঘটনায় আমাদের ১০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। এ ছাড়া কর্মীদের মোটরসাইকেল ও ব্যবস প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করা হয়েছে। তারপর আবার মামলা দিয়ে হয়রানি করছে যা খুবই দু ঃখজনক।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন খোকন বলেন, বিএনপির মিছিল থেকে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অশালীন স্লোগান দিয়ে আবার তাঁদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করেছে। বিএনপি সব সবসময় সহিংসতায় রাজনীতি করেন।
রায়পুর থানার ভারপ্রাপত কর্মকর্তা শিপন বড়-য়া জানান,সোমবার সকালে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।