জামালপুরের বকশীগঞ্জে ভূমি সমস্যার স্থায়ী সমাধানের দাবি জানিয়েছেন আদিবাসীরা। প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্বারকলিপি দিয়েছেন তারা। মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকের হাতে স্বারকলিপি তুলে দেন আদিবাসী নেতারা। এ সময় টি.ডব্লিউ.এর সাধারণ সম্পাদক অনন্ত ম্রং, আদিবাসী নেতা হোশিও ম্রং,বালুঝুড়ি আদিবাসী বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি রতন বানোয়ারী,সাধারণ সম্পাদক এলিন রিছিল ও গারো ছাত্র সংগঠনের সভাপতি রাহুল রাকসাম উপস্থিত ছিলেন।
আদিবাসী নেতারা জানান, বকশীগঞ্জ উপজেলার ভারতীয় সীমান্তবর্তী ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নে শতশত বছর থেকে বসবাস করে আসছে আদিবাীরা। ওই ইউনিয়নে বালুঝুড়ি,রামক্ষনঝুড়া,গারামারা,সোমনাথপাড়া,ঘোড়াগ্রী, দিঘলাকোনা ও হাতিরবারকোনা এলাকায় প্রায় দুই শতাধিক পরিবার বসবাস করে আসছে। জনসংখ্য প্রায় এক সহস্রাধিক। প্রত্যান্ত এলাকায় বসবাস করার কারণে তারা এখনো সুবিধা বঞ্চিত। ১৯২৭ সালে বিট্রিশ বন আইনের কারণে আদিবাসীরা এখনো নানা সংকটে জর্জরিত। আদিবাসীদের সিএস,এসএ,বিআরএস রেকর্ডভুক্ত জমিগুলি ১৯৫১ ও ১৯৫৬ সালে গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে বনবিভাগ দখলে নিয়েছে। এছাড়াও এলাকার প্রভাবশালীরা আদিবাসীদের রেকর্ডীয় জমি জোড়পূর্বক দখল করে নিয়েছে। পুরনো ঘর মেরামত ও নিজেদের ভিটায় লাগানো গাছ কাটতে গেলেও বনবিভাগের বাধাঁর সম্মুখীন হতে হয়। তাই স্থায়ী ভূমি সমাধানের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্বারক লিপি দিয়েছেন তারা।
এ ব্যাপারে গারো ছাত্র সংগঠনের সভাপতি রাহুল রাকসাম বলেন,আমাদের দখলীয় ভূমি আমাদের নামে স্থায়ী বন্দোবস্ত, বনবিভাগ কর্তক মিথ্যা মামলায় হয়রানি বন্ধ ও যে সমস্ত মামলা রয়েছে তা প্রত্যাহার,ভূমির উপর আদিবাসীদের অধিকার নিশ্চিত করনসহ ভূমি সমস্যার স্থায়ী সমাধান চাই।
আদিবাসী নেতা হোশিও ম্রং বলেন,বনবিভাগ ও স্থানীয় প্রভাবশালীরা নিজ দেশে পরবাসী হিসেবে থাকতে হয় আমাদের। তাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের আবেদন দ্রুত ভূমি সমস্যার স্থায়ী সমাধান চাই।
জামালপুর জেলা প্রশাসক মুর্শেদা জামান বলেন, ভূমি সমস্যার স্থায়ী সমাধানের দাবিতে আদিবাসীদের দেয়া স্বারকলিপি গ্রহন করেছি। যথানিয়মে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর পাঠানো হবে।