২৪ ঘন্টার মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার বাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের দাঁড়িপাতা গ্রামের সাত বছর বয়সী শিশু হামিম হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে গোমস্তাপুর থানা পুলিশ। এ ঘটনায় আটক একই এলাকার মৃত সোহরাব হোসেনের ছেলে মুদি দোকানদার মোকলেস (৫২) বুধবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। টিভির রিমোট ভেঙে ফেলায় এ হত্যার ঘটনা ঘটে বলে তিনি স্বীকার করেন।
জানা গেছে,গত সোমবার সকালে শিশুটি নিখোঁজ হয়। একদিন পর মঙ্গলবার সকালে শিশু হামিমের মরদেহ একটি শস্যক্ষেত থেকে উদ্ধার করে পুলিশ ও স্থানীয়রা। মরদেহ উদ্ধার হওয়া শিশুটির নাম হামিম (৭)। সে দাঁড়িপাতা গ্রামের রেজাউল করিমের ছেলে। এ ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩ জনকে আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মূলহোতাকে চিহ্নিত করে পুলিশ।
গোমস্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলীপ কুমার দাস বলেন, মূল আসামি মোকলেস তুচ্ছ ঘটনায় শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। দিনভর মরদেহ বাড়িতে লুকিয়ে রেখেছিলেন। রাতে পাশ্ববর্তী (খেসারী) শস্যক্ষেতে ফেলে রেখে যান তিনি। জিজ্ঞাসাবাদে মোখলেস জানায়, শিশুটি তার দোকানে টিভি দেখার সময় ঘন ঘন চ্যানেল পাল্টাতে থাকে। পরে তাঁর কাছে টিভির রিমোট চাইতে গেলে তা মাটিতে ফেলে ভেঙে দেয়।ক্ষিপ্ত হয়ে সে তাঁকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। বুধবার আদালতে হত্যার কথা স্বীকার করে জবাববন্দি দেন মোকলেস। এরআগে গত মঙ্গলবার এ ঘটনায় শিশুটির পিতা রেজাউল করিম বাদী হয়ে গোমস্তাপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন বলে তিনি জানান।