বিরলে কথিত দলিল লেখক সমিতির সদস্যদের সাথে সাব রেজিস্টারের দ্বন্দ্ব নিরসনের খবর পাওয়া গেছে। কলম বিরতির নামে জিম্মিদশা থেকে মুক্ত হয়ে দলিল সম্পাদনার কাজ শুরু হলেও উৎকোচ ও চাঁদা আদায় বন্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভূক্তভোগী জমির দাতা ও গ্রহীতাবৃন্দ। তবে দুর্নীতিবাজ সাব-রেজিস্টার ও কথিত দলিল লেখক সমিতির নেতৃবৃন্দের সমঝোতা মন থেকে মেনে নিতে পারছেনা ভূক্তোভোগী দলিল দাতা গ্রহিতা ও ভূমি মালিক গণ। তারা দূর্নীতিবাজ সাব রেজিস্টার রিপন চন্দ্র মন্ডলকে বিরলস্থ কর্মস্থল থেকে অনতি বিলম্বে অপসারণ ও কথিত দলিল লেখক সমিতি বিলুপ্ত করার দাবি জানিয়েছেন।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বিকালে কথিত উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সাথে দলিল প্রতি উৎকোচ নেয়ার দর কষাকষি নিয়ে বিবাদ বাঁধে বিরলের দুর্নীতিবাজ সাব রেজিস্টার রিপন চন্দ্র মন্ডল এবং তাঁরই একান্ত কাছের মানুষ নৈশ্য প্রহরী কাম ঝাড়–দার পল্টু মিয়ার। ফলে ঘটনার সূত্র ধরে পরের দিন ১৭ ই ফেব্রুয়ারি সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে বিক্ষোভ করে তথাকথিত দলিল লেখক সমিতির সদস্যরা। বিক্ষোভকারীরা এ সময় দুর্নীতিবাজ সাব রেজিস্টারের অপসারন দাবী করে কলম বিরতি ঘোষণা করেন। এ ঘোষণার পর ভূমি মালিক ও দাতা গ্রহীতা কে প্রায় ৬ দিন আবারো ক্ষতি ও জিম্মির মুখে রেখে সাব রেজিস্টার ও কথিত দলিল লেখক সমিতির নেতৃবৃন্দ গোপনে সমঝোতা করে বুধবার থেকে দলিল লেখা এবং সম্পাদনের কাজ আবারো শুরু করেছেন।
এদিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভুক্তভোগী দাতা-গ্রহীতা ও ভূমি মালিকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ ও ভুক্তভোগীরা বলেন, বিরল সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল সম্পাদন করতে গেলেই প্রতি গ্রাহককে কথিত দলিল লেখক সমিতি কে চাঁদা হিসাবে দলিল প্রতি কমপক্ষে ২০০০ টাকা দিতে হয়। এ ছাড়া সাব-রেজিস্টারকে দিতে হয় আরও উৎকোচ হিসেবে দলিল অনুযায়ী ১০, ২০, ৫০ থেকে শুরু করে ১ থেকে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। ক্ষতিগ্রস্থ দাতা-গ্রহীতা ও ভূমি মালিকগণ অবিলম্বে দুর্নীতিবাজ সাব রেজিস্টার রিপন চন্দ্র মন্ডলের অপসারণ, অবৈধ উপায়ে জিম্মি করে উৎকোচ গ্রহণ বন্ধসহ চাঁদা আদায়কারী কথিত দলিল লেখক সমিতি বিলুপ্তি চেয়ে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।