কুড়িগ্রামের উলিপুরে প্রশিকা পল্লী বাসিন্দাদের মাঝে দলিল হস্তান্তর করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রশিকার উলিপুর কার্যালয়ে ৩জন ভূমিহীনদের হাতে জমির দলিল তুলে দেয়া হয়। এ সময় কেন্দ্রিয় টিম লিডার হাবিবুর রহমান, টিম সদস্য আবিদুর রহমান লেবু সরদার, সমন্বয়ক মাজহারুল ইসলাম, উপজেলা কৃষক লীগের যুগ্ন আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, ১৯৯৯ সালে ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তা নদী ভাঙনের শিকার হওয়া থেতরাই ইউনিয়নের দঁড়ি কিাশোরপুর গ্রামে ১১০টি ও বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের সাতভিটা গ্রামের ৫৯ টি পরিবারকে বাসস্থানের জন্য ২৫ হাজার ৬০০ টাকা মূল্যে প্রশিকা সুদমুক্ত ঋণের মাধ্যমে তিন শতক জমি ও ঘর তৈরি করে দেন। দীর্ঘ ২২ বছর পর ২৫ হাজার ৬০০টাকা ফেরত দিয়ে তাদের জমির দলিল বুঝে নেন তারা।
এসময় দঁড়ি কিশোরপুর গ্রামের বাসিন্দা সাহেব উদ্দিন (৭৪) বলেন, নদী হামার বাড়ি ৬-৭ ভাঙছে। থাকার জাগা ছিল না। আস্তাত (রাস্তা) কোন রকমে ধাপড়ি টাঙি আছলং। সেসময় প্রশিকা হামাক জাগা কিনি দিয়ে ঘর নলকুপ দিছে। আজ সেই টেকা ফেরত দিলং। কোন লাভটাভ নাই। হামার কি যে উপকার হইছে।
একই গ্রামের ফিরোজা বেগম বলেন, আমরা নদী ভাঙা মানুষ। সেসময় আমি ছোট আছলং। প্রশিকা হামার বাপ মাক টেকা দিয়ে জমি কিনি দিছে। আজ বাপ মাও বাঁচিনাই। কিন্তু ওই ঘরত হামরা থাকি। আজ মেলা দিন পর প্রশিকার দেয়া টেকা ফেরত দিয়ে জমির দলিল নিলং।
এ বিষয়ে কেন্দ্রিয় টিম লিডার হাবিবুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন প্রশিকা ঝিমিয়ে থাকার পর আবারও কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি পূর্বের ন্যায় আবারো প্রশিকা সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের নিয়ে কাজ করবে।