নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন জলাশয়, ফসলের মাঠ, বিল, নদীর ধারে ভিড় করছে সাদা রঙের বকের দল। ঝাঁকে ঝাঁকে বকের দল দেখতে যেন মিলন মেলা।
ওই এলাকার পুরনো বিল যৌবনসিরির। এ বিলের চারপাশে বসন্ত এলে দেখা মেলে, হাজার, হাজার দেশি বকের দল সারিবদ্ধভাবে বিলের দুই ধার এবং কৃষি জমির ওপর বসে থাকে। কৃষক রোপা আমন খেতের জমিতে চাষাবাদ করার সময় শত শত বকের দল জমির চারপাশে এসে বসে পড়ে। এরা জমির ওপর লাগানো ফসলের পোকামাকড় খায়।
স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিন সকালে ছুটে আসে বকের দল। গত কয়েক বছর ধরে বকগুলো প্রতিনিয়ত আসছে। সরকারিভাবে পাখি শিকার নিষিদ্ধ ঘোষণার পর পাখি শিকারিদের তেমন একটা চোখে পড়ে না। আর এ কারণেই হয়তো বকগুলো এখানে নিরাপদ মনে করে প্রতিনিয়ত আসছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, 'ফসলি জমিতে পোকামাকড় দমনে বকের ভূমিকা অপরিসীম। এ পাখি এখন বিলুপ্তির পথে। তেমন একটা চোখে পড়ে না। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে কিশোরগঞ্জের বিলের ধারে জলাশয়ে এদের দেখা মিলছে। পাখি শিকার নিষিদ্ধ হওয়ার ফলে বকগুলো এ স্হানকে নিরাপদ মনে করছে।'
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুর-ই আলম সিদ্দিকী বলেন, 'পাখি শিকার বন্ধ করতে সরকারি আইনের প্রচারসহ শিকার বন্ধে জনসচেতনতা গড়ে তুলতে কাজ করছি।'