যে বয়সে কোন বালাই নাই, সে বয়সের ছেলেদের বড় আয়োজন করে হাতে পুরস্কার আর মাথায় পাগড়ি এমন পরিবেশ উপস্থিত সকলকে পুলকিত করেছে। শুধু তাই নয়, ক্রমান্বয়ে ৬ জন কোরআনে হাফেজের মনমুগ্ধকর তেলাওয়াতে বিমোহিত হয় অনুষ্ঠানস্থল। কোরআনে হাফেজ হওয়ার পর এমন স্বীকৃতি পেয়ে তাঁদের চোখ-মুখ ছিল আনন্দের ঝিলিক। এ দৃষ্টিনন্দন আবহটি তৈরী হয় কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার যাত্রাপুর গ্রামে। বৃহস্পতিবার রাতে নূরীয়া এতিমখানা ও মাদরাসায় হাফেজ ছাত্রদের পাগড়ি প্রদান উপলক্ষে ২৯তম বার্ষিক ওয়াজ মাহফিলে ওই আয়োজন করা হয়।
সোনাকান্দা কামিল মাদরাসার মুফতী মাওলানা বোরহান উদ্দিনের সভাপতিত্বে মাহফিলে প্রধান বক্তা ছিলেন, মাওলানা মুফতী রাফি বিন মনির। এতিমখানার প্রতিষ্ঠাতা হাফেজ মাওলানা বাশারত ভ্ইুয়ার পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, মাওলানা মির্জা ইয়াসীন আরাফাত, কারী সাইফুল ইসলাম, হাফেজ আমিনুল ইসলাম, মাওলানা শাহজাহান আরিফী, মুফতী তাজুল ইসলাম, মুফতী আমিরুল ইসলাম, সমাজ সেবক মাহমুদুর রহমান।
কোরআনে হাফেজ হওয়া আশিকুল ইসলাম ও কাজী খাইরুল ইসলাম বলেন, এত সুন্দর আয়োজন করে মাথায় পাগড়ি আর হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়ার দৃশ্য জীবনের প্রথম আনন্দ, যা কখনো ভুলার নয়। সামনে যতদিন বেঁচে থাকব এ সম্মান অক্ষুন্ন রেখে চলার চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, রহিমপুর হেজাজিয়া এতিমখানার পরিচালক কাজী মোহাম্মদ লোকমান, মাদরাসার সভাপতি আবদুল বাতেন ভুইয়া, সাংবাদিক হাবিবুর রহমান, সমাজ সেবক আবদুস ছালাম ভুইয়া সেলিম, মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান, মাওলানা আবু ইউসুফ ও হাফেজ মাওলানা ওমর ফারুক প্রমুখ।