একদিনে এক কোটি মানুষকে টিকার আওতায় আনার লক্ষ্যে চট্টগ্রামের হাটহাজারীসহ সারাদেশে শুরু হয়েছে গণটিকাদান কার্যাক্রম। শনিবার সকাল থেকে ১টি পৌরসভা ও ১৪টি ইউনিয়ন পর্যায়ের দেয়া হচ্ছে টিকা। নিবন্ধনবিহীন টিকা নিতে প্রতিটি সেন্টারের ভিড় করেছে প্রত্যাশীরা।
জানা যায়, উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেসহ মোট ১৭টি কেন্দ্রে একযোগে টিকা প্রদান করা হয়। এ ছাড়া নিয়মিত কেন্দ্রেও টিকা দেয়া হচ্ছে স্কুল ও মাদ্রাসা ছাত্র ছাত্রীদের বিশেষ করে
১২ থেকে শুরু করে তদূর্ধ্ব বয়সী সকলকেই এ টিকা প্রদান করা হচ্ছে। তবে এজন্য প্রয়োজন হচ্ছে না কোন নিবন্ধনের। শুধুমাত্র নাম, বয়স আর মোবাইল নম্বর দিয়েই এ টিকা গ্রহণ করছেন প্রত্যাশীরা।
এদিকে চট্রগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডিজিজ অব কন্ট্রোল ডা. মোহাম্মদ নুরুল হায়দার, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সারভেইলেন্স এ- ইমিউনাইজেশন মেডিকেল অফিসার ডা. এফ এম জাহিদুল ইসলাম ও ইউনিসেফের তরফ থেকে পৃথক একটি পর্যবেক্ষণ দল এ গণটিকার কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. সুরজিত দত্ত জানান, গনটিকা উপজেলায় ১৩ হাজার ৮শত মানুষকে টিকা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে টিকাদান কার্যাক্রম শুরু করা হয়েছে। তবে কাউকে টিকাবিহীন বাড়ি ফিরে যেতে হবে না। আমাদের কাছে যথেষ্ট টিকা মজুদ আছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শাহিদুল আলম জানান, সকাল থেকেই প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌরসভা পরিদর্শন করেছি।স্বাস্থ্যকর্মীরা সুন্দর পরিবেশে সাধারণ মানুষকে টিকা প্রদান করা হচ্ছে।সাধারণ জনগণের স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহনে টিকা গ্রহন করছেন।
গনটিকার বিশেষ এ ক্যাম্পেইনে পৌরসভা, উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে টিকাদানের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে।জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করে সুবিধাজনক স্থানে টিকাদান করতে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে বলে তিনি জানান।