বড়গুনী শেখ আবু নাসের স্মৃতি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের ৮৮জন শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগে ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম হেদায়েত উল ইলামের বিরুদ্ধে প্রায় দেড় কোটি টাকা নিয়োগ বাণিজ্যসহ সিমাহীন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই ঘটনার প্রতিকার দাবীতে সম্প্রতি বিদ্যালয়টির ৭জন শিক্ষক-কর্মচারী স্বাক্ষরিত এক অভিযোগ বাগেরহাট জেলা প্রশাক বরাবরে দায়ের হয়েছে।
ওই প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মোল্লাহাট উপজেলার কদমতলা গ্রামের আসাদুজ্জামান সহ ৭জন শিক্ষক-কর্মচারী স্বাক্ষরিত অভিযোগে প্রকাশ, বাগেরহাটের মোল্লাহাটের সীমান্তবর্তী চিতলমারীর বড়গুনী সরকারি পুকুর মধ্যপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও বড়গুনী শেখ আবু নাসের স্মৃতি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি এস,এম হেদায়েত উল ইসলাম ওই প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের ৮৮ জন শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেন। ওই বিজ্ঞপ্তির ঊদ্ধৃতি অনুযায়ী ৪২ জন শিক্ষক, ১৪ জন ভ্যান চালক ও ৩২ জন আয়া, মোট ৮৮জন জনবল নিয়োগ দেন। একই সাথে প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো তৈরীর অযুহাতে সর্ব নি¤œ এক লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে আড়াই লক্ষ টাকা পর্যন্ত প্রত্যেকের থেকে পদানুযায়ী নেন এবং দিতে বাধ্য করেন সভাপতি এস,এম হেদায়েত উল ইসলাম। বর্তমানে তাদেরকে বাদ দিয়ে সিমাহীন অনিয়মের মাধ্যমে তার আত্মীয়-স্বজনদের নিয়োগ দিচ্ছেন বলেও অভিযোগে বলা হয়েছে। এসকল অনিয়ম, দুর্নীতি ও কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার বিষয়ে যথাযথ আইনানুগ ব্যাস্থা গহনের দাবীতে অভিযোগকারীরা বলেন-আমরা দীর্ঘ কয়েক বছর এখানে শ্রম, জীবনের মূল্যবান সময় দিচ্ছি নিয়োগ পাওয়ার মাধ্যমে। এ ছাড়া আমাদের থেকে সভাপতি হেদায়েত উল ইসলাম যে, টাকা নিয়েছেন, তা আমরা দিয়েছি ধার-সুদে দেনার মাধ্যমে, আবার কেউ দিয়েছি সম্পদ খুইয়ে। আমরা এ জঘন্য কর্মকান্ডের দৃষ্টান্ত মূলক বিচার দাবী করি।
উক্ত বিদ্যালয়ের সভাপতি ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস,এম হেদায়েত উল ইসলাম তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের বিষয়ে সাক্ষাতকার দিতে অস্বিকৃতি প্রকাশ করেন এবং একই সাথে তিনি ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি না বলে জানান। তবে, কাগজপত্রে তিনি সভাপতি আছেন, এমন প্রশ্নের কোন সদুত্তোর দিতে পারেন নাই তিনি।
উল্লেখ্য, অভিযোগের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সরেজমিনে তদন্ত করেছে বলেও জানা গেছে।