হিলি স্থল বন্দর, বিরামপুর, নবাবগঞ্জ, ও ঘোড়াঘাট উপজেলার মানুষ বিরামপুর রেল স্টেশন থেকে ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় ট্রেন যোগে প্রতিদিন যাতায়াত করে থাকে।
ঢাকাগামী ট্রেনের টিকিটের অভাবে ট্রেনের যাত্রীরা যাতায়াত করতে পারছে না। বিরামপুর রেলস্টেশন থেকে ব্যবসায়ী ও নানা পেশার মানুষ সরকারি সেবা অন্যতম ট্রেন যাত্রা সুবিধা মনে করে এই স্টেশন দিয়ে যাতায়াত করে। ট্রেনের যাত্রা নিরাপদ এই কারণে মানুষের আগ্রহ থাকলে ও টিকিট এর অভাবে ট্রেনে যাতায়াত করতে পারছে না যাত্রীরা। যাত্রার আগেই টিকিট উধাও।
জানা যায়, যাত্রীদের জন্য নিয়ম অর্ধেক টিকিট অনলাইন ও অর্ধেক টিকিট স্টেশনে মিলার কথা থাকলেও স্টেশনে টিকিট মেলে না। অসাধু অনলাইন ব্যবসায়ী ও টিকিট কাউন্টারের একশ্রেণির অসাধু কর্মচারীদের যোগসাজশে নামে-বেনামে আগেভাগে বুকিং করে দিনের টিকিট আগেই কেটে নেয়। যাত্রীদের ভাগ্যেয়া টিকিট মিলেনা। সিন্ডিকেট চক্রটি সকল ট্রেনের টিকিট আগেই বুকিং করে নেয়। টিকিট না পেয়ে বিপাকে পড়ে সাধারণ যাত্রীর। স্টেশনের কাউন্টারে টিকিটের জন্য ভিড় করে লাভ হয় না, বুকিং কর্মচারীর অজুহাত টিকিট নেই এই কথায় যথেষ্ট। ঢাকাগামী তিনটি ট্রেনে (প্রায়) ৭২ টি আসন ( সিট) যাত্রীদের জন্য বরাদ্দ রয়েছে।
বিরামপুর রেল স্টেশনে টিকিট কাউন্টারে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ১৫/ ২০ জন যাত্রী মৌখিক অভিযোগে জানান, লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে টিকিটের জন্য কাজ হয়না। স্টেশনের বুকিং কাউন্টারে টিকিট না পেলেও কালোবাজারে ঠিকই টিকিট পাওয়া যায়। লোক দেখানো দুই চারটা টিকিট যাত্রীদের কাছে বিক্রি করে, টিকিট নেই বন্ধ করে দেয় টিকিট বুকিং।
হিলি রেল ষ্টেশনে ঢাকাগামী ট্রেনের যাত্রা বিরতি না থাকার কারনেই বিরামপুরে ট্রেন যাত্রি দিন দিন বাড়ছে। কাউন্টারের কর্মচারির অভিযোগ আগেই টিকিট বুকিং হয়েছে, অনলাইনের দোকানগুলিতে যোগাযোগ করুন টিকিট পেতে পারেন,টিকিট নেই ৩/৪ দিন পূর্বে টিকিট শেষ হয়ে গেছে।
বিরামপুর স্টেশন মাস্টার রফিক উদ্দিন চৌধুরী জানান, পাঁচটি ট্রেন এই স্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে চলাচল করে। বিরামপুর স্টেশনে যাত্রীদের জন্য বরাদ্দ নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী আসন সংখ্যা ২২ টি, (এসি) সিট ৫ ,একতা এক্সপ্রেস এর আসন সংখ্যা -২২ টি, দ্রুতযান এক্সপ্রেস আসন সংখ্যা ২৪ টি, তিনি আরো জানান চাহিদার তুলনায় টিকিট স্বল্প হওয়ায় কারণে টিকিট সংকট দেখা দেয়।