পিরোজপুরের নাজিরপুরে আমের মুকুল সৌরভ ছড়াচ্ছে বাতাসে। নানা ধরনের ফল-ফুলের সাথে সৌরভ ছড়াচ্ছে দৃষ্টিনন্দন আমের মুকুলও। আমের মুকুলের মৌ-মৌ গন্ধে সুবাসিত এখন প্রকৃতি। চারপাশে আমের মুকুলের সুমিষ্ট সুবাস আন্দোলিত করে তুলছে পথিকের মন। গত এক মাস ধরে উপজেলার বিভিন্ন আম গাছে আমের মুকুল দেখা দিতে শুরু করেছে। এ বছর আমের মুকুলের সোনালি রঙয়ের নান্দনিক দৃশ্য অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক বেশি লক্ষনীয়। তাই চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় আমের ভালো ফলন হবে - এমন আশাবাদ স্থানীয় কৃষক ও কৃষি বিভাগের। স্থানীয় কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেল, আমচাষ লাভজনক হওয়ায় এ উপজেলায় প্রতিবছরই নতুন করে জমিতে মাটি কেটে এবং বাড়ির আঙিনা, ছাদকৃষিসহ বিভিন্ন জায়গার ছোট-বড় আমের বাগানের সংখ্যা বাড়ছে। নতুন করে ওঠা আমের বাগানগুলোতে বেশির ভাগ গাছই হলো আমরুপালি, ল্যাংড়া, গোপালভোগ, ক্ষিরসাপাত, ফজলি ও আশ্বিনা জাতের। কেননা এসব জাতের আম খেতে যেমন সুমিষ্ট, বাজারেও এগুলোর চাহিদা ব্যাপক। তাই কৃষকরা এসব জাতের চারা সংগ্রহ করে তারা বাণিজ্যিকভাবে আম উৎপাদনের দিকে নজর বেশি দিচ্ছেন। উপজেলার কাঠালিয়া গ্রামের আমচাষী জ্যোতিস চন্দ্র হালদার, কাটাবুনিয়া গ্রামের মলয়, সাতকাছিমা গ্রামের শেখ প্রেফেসার সোহেল, তারাবুনিয়া গ্রামের রিদয় দাস, বাইনকাঠী গ্রামের অভিজিত হালদার ও পরিতোশ বড়ালসহ অনেকেই জানান, এ বছর অনুকূল আবহাওয়ায় আমের পর্যাপ্ত মুকুল গাছে গাছে দৃশ্যমান হলেও মাঝে হালকা বৃষ্টি ও ঘন কুয়াশার কারণে আমের মুকুলের একটু ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এতে আমের উৎপাদন কমে যেতে পারে। তাই কৃষকরা কিছুটা উদ্বিগ্ন হয়ে পরেছেন। ফলে কৃষকেরা তাদের আম গাছ রক্ষায় স্থানীয় কৃষি বিভাগের পৃষ্ঠপোষকতার দাবি জানান। এ ব্যাপারে উপজেলা সহ-কারি কৃষি কর্মকর্তা মো. বাবুল আক্তার জানান, কৃষকদের স্বার্থের কথা মাথায় রেখেই আমবাগানের সঠিক পরিচর্যা ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিতে সার্বক্ষণিক নিয়জিত রয়েছেন।