জাতীয় মাছ ইলিশ এর উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে আজ ১ মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে জাটকা ইলিশ রক্ষা অভিযান-২০২২।
মার্চ-এপ্রিল (০২) মাস পদ্মা মেঘনা অভয়াশ্রমে সব ধরনের মাছ ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এ সময় সারাদেশে জাটকা আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় নিষিদ্ধ করেছে সরকার।
চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনার মতলবের ষাটনল থেকে হাইমচরের চরভৈরবী পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার নদী এলাকা হচ্ছে জাটকা অভয়াশ্রম।
জাটকা ইলিশ রক্ষা অভিযান সফল করার লক্ষ্যে
জনসচেতনতায় নৌ র্যালীর আয়োজন করেছে চাঁদপুর জেলা টাস্কফোর্স কমিটি।
অভিযানের প্রথম দিন আজ পহেলা মার্চ মঙ্গলবার সকাল দশটার সময় চাঁদপুর বড় স্টেশন বঙ্গবন্ধু পর্যটন কেন্দ্র মোলহেড থেকে নৌ র্যালীর উদ্বোধন করবেন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ।
চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসান জানান,
১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল এ সময় পর্যন্ত কোন জেলে মাছ ধরতে নদীতে নামতে পারবেনা। আইন অমান্যকারী কে কমপক্ষে এক বছর থেকে সর্বোচ্চ দুই বছর সশ্রম কারাদ- অথবা জরিমানা করা হবে।
জেলের বিকল্প কর্মসংস্থান হিসেবে সরকার ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় জনপ্রতি ৪০ কেজি করে চাল প্রদান করা হবে। চাঁদপুর জেলায় তালিকাভুক্ত জেলে রয়েছে ৪৪ হাজার ৩৫ জন। ‘নিষিদ্ধ সময়ে তারা চল্লিশ কেজি করে চার মাস চাল সহায়তা পাবে। ইতোমধ্যে জেলেদের খাদ্য সহায়তার বরাদ্দ পাওয়া গেছে এবং চাল বিতরণের জন্য অভয়াশ্রম এরিয়া চাঁদপুর সদর,হাইমচর,মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের নিকট ভিজিএফ চালের ডিও দেওয়া হয়েছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আরও বলেন, জাটকা ইলিশ রক্ষায় জেলা টাস্কফোর্স কমিটির সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত সমূহ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করবে প্রশাসন। এক্ষেত্রে
জেলা-উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটি তৎপর রয়েছে।
মঙ্গলবার থেকে দুইমাস চাঁদপুরের অভয়াশ্রম এরিয়ায় চব্বিশ ঘন্টাই অভিযান অব্যাহত ভাবে চলবে।
জেলা উপজেলা মৎস্য বিভাগ, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, কোস্টগার্ড, নেভি, নৌ পুলিশ, জেলা পুলিশ নদীতে এবং উপরে অভিযান পরিচালনা করবে।
জনসাধারণ এবং জেলেদেরকে জাটকার বিষয়ে সচেতন করতে আমাদের প্রচার প্রচারণা চলছে। বিভিন্ন উপজেলায় এবং ইউনিয়ন উদ্বুদ্ধকরণ সভা করা হচ্ছে।
এবারের জাটকা মৌসুমে ইলিশের পোনা জাটকা মাছ রক্ষা কর্মসূচি কতটুকু সফল হয় সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা সচেতন মহলের।