কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার হুমাইপুর ইউনিয়নের শিম্বপুর এলাকার দাসপাড়া সংলগ্ন নদীর উপরে স্টীল বডি নৌকা দিয়ে দিনের বেলায় বালি উত্তোলন না করে সন্ধ্যা থেকে ভোর রাত পর্যন্ত এলাকার একটি সঙ্গবদ্ধ চক্র বালি উত্তোলন করে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ড্রেজার দিয়ে বালি উত্তোলনের ফলে মেশিনের আওয়াজে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া যেমন নষ্ট হচ্ছে তেমনি ভাবে এই গ্রামের লোকদের রাতের ঘুম হারাম হয়ে গিয়েছে বলে এলাকায় অভিযোগ রয়েছে। গত কিছুদিন আগে দলেশ্বরি নদী থেকে বালি উত্তোলনের বিষয়ে যায় যায় দিন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছিল। কিন্তু গ্রেপ্তার হওয়ার পর কিছু দিন বালি উত্তোলন বন্ধ থাকার পর প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে এই চক্রটি রাতের বেলায় বালি উত্তোলন করে আসছে বলে জনশ্রতি রয়েছে। এদিকে শিম্বপুর এলাকা হতে ড্রেজার দিয়ে উজাইখালি প্রায় ১৫ থেকে ২০ একর বোরো ধানের জমির ফসল নষ্ট হচ্ছে। এই বিষয়ে গত কিছু দিন আগে বাজিতপুর থানায় মোঃ কফিল উদ্দিন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলে ও এখনও পর্যন্ত এই চক্রটি বালি উত্তোলন করে আসছে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে। অথচ গ্রামের নিরাপরাদ লোকজন এই চক্রের ভয়ে কেউ নাম বলতে চায় না। গত কিছু দিন আগে এলাকার শাহাদুল্লাহ, কফিল মিয়া সহ অনেক গ্রাম বাসী জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। যাহা মাধ্যম দিয়েছেন বাজিতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে। গতকাল দুপুরে বাজিতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ মোরশেদা খাতুনকে বার বার মুঠো ফোন দিয়ে যোগাযোগ করলে ও তিনি ফোন ধরেন নি।