কালীগঞ্জ চিত্রা নদীর জায়গা দখল করে চাষ করা ধানখেতে দেওয়া কীটনাশকে দেড় শতাধিক দেশি হাঁসের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার কালীগঞ্জ উপজেলার সিংদহ গ্রামের ২৩ পরিবারের ১৫৮টি হাঁস দখলদারদের দেওয়া কীটনাশকে মারা যায়।মৃত হাঁসগুলো নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন ভুক্তভোগী মানুষেরা। তাঁরা বলেছেন, আরও বেশ কিছু হাঁসের খোঁজ পাচ্ছেন না নদীপাড়ের বাসিন্দারা। এসব হাঁস মারা যাওয়ার পর লুকিয়ে ফেলা হয়েছে বলে তাঁরা সন্দেহ করেছেন।
ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিরা দাবি করেছেন, তাঁদের প্রায় ৬৫ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। তাঁদের দাবি, বাড়ির পাশেই রয়েছে চিত্রা নদী। এ নদীতে গরু,ছাগল পানি খেতে নামে, গৃহপালিত হাঁসগুলো সাঁতার কেটে বেড়ায় এবং বাড়ির নারী-পুরুষেরা গোসল করেন। সেই নদী এখন চলে গেছে দখলদারদের কবলে। তাঁরা নদীর বুকে মাটি কেটে জমি বানিয়ে ধান চাষ করেছেন। এই ধানখেতে কীটনাশক দিয়ে পোকামাকড় মারতে গিয়ে মরছে গৃহপালিত প্রানী গুলো।চিত্রা নদীর সিংদহ গিয়ে দেখা যায়, নদীর পানিতে মারা যাওয়া হাঁসগুলো ভেসে উঠছে। এ গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া চিত্রা নদীর তলদেশে ধান আর ধান। নদীর ওপরে বসবাসকারী প্রভাবশালীরা নদীর জায়গা দখল করে ধান চাষ করেছেন। তাঁরা নদীর পাড় কেটে তলদেশ সমতল করে সেখানে ধান চাষ করেছেন। এগুলো রক্ষা করতে অনেকে জাল দিয়ে ঘিরে দিয়েছেন। আবার অনেকে মাঝেমধ্যে কীটনাশক ছিটাচ্ছেন।
আম্বিয়া খাতুন বলেন, তার ১১টি হাঁস মারা গেছে। ধান রক্ষায় নদীতে কীটনাশক দেওয়ায় এ ঘটনা ঘটেছে। তাঁদের ২৩টি পরিবারের ১৫৮টি হাঁস এভাবে মারা গেছে। এ ছাড়া অনেকেই তাঁদের হাঁস খুঁজে পাচ্ছেন না। তাঁদের ধারণা, এগুলো মারা যাওয়ার পর লুকিয়ে ফেলা হয়েছে। অনেকে মারা যাওয়ার আগেই কিছু হাঁস জবাই করেছেন।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া জেরিন জানান, ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিরা তাঁর দপ্তরে এসেছিলেন। তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।