কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরায় জমি কিনে ৩৫ বছর ধরে ঘর-বাড়ি বানিয়ে বসবাস করা একটি দরিদ্র পরিবারকে ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদের পাঁয়তারা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। থানার আকুবপুর ইউনিয়নের বলিঘর গ্রামে এ ঘটনার সংবাদে এলাকায় তোলপাড় চলছে। বুধবার দুপুরে ওই গ্রামের মৃত জলধর চন্দ্র দাসের ছেলে মাখন চন্দ্র দাস সংবাদ কর্মীদের কাছে মৃত আবদুল গফুর সরকারের ছেলে প্রভাবশালী আবদুল ওয়াদুদ সরকারের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেন।
ভূক্তভোগি মাখন চন্দ্র দাস কান্নাকাটি করে বলেন, ১৯৮৭ সালে জনৈক বাসনা বালা দাস থেকে ১৭ শতক সম্পত্তি কিনে বাড়ি-ঘর করে বসবাস করছি। দীর্ঘদিন পর আমাদের ক্রয় করা ভূমি একই গ্রামের মৃত আবদুল গফুর সরকারের ছেলে আবদুল ওদুদ সরকার আমাদেরকে বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার জন্য হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। তখন খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, আমাদের ক্রয় করা ১৭ শতক সম্পত্তির মধ্যে ১২ শতক ভূমি আবদুল ওয়াদুদ সরকার লিখে নেয়। বর্তমানে আমাদের দখলীয় সম্পত্তি বিভিন্ন জনের নিকট বিক্রির ভয় দেখিয়ে উচ্ছেদের পাঁয়তারা করছেন।
আপনার ক্রয় করা ভূমি আবদুল ওয়াদুদ সরকারের নামে রেজিষ্ট্রি হল কিভাবে এমন প্রশ্নে? তিনি বলেন, আবদুল ওদুদ সরকার আমার প্রিয় বন্ধু ছিল। ভূমিটি ক্রয় করতে সম্পূর্ণ টাকা আমি তার হাতে দেই। কিন্তুু আমার সরল বিশ^াসে আঘাত করে সে তাঁর নামে ১২ শতক ভূমি লিখে নেয়। এ বিষয়ে তার সাথে কথা হলে সে বলে সমস্যা নেই, আমি তোমাকে দলিল দিয়ে দেব। কিন্তু এখন দেখছি, সে তার ১২ শতক ভূমি বিক্রি করার জন্য বিভিন্ন ভাবে পাঁয়তারা করে আসছে। এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি হওয়ায় আমি তার কোন প্রতিবাদ করতে পারছি না।
পৈত্রিক সূত্রে বিক্রি করা ভূমির মালিক বাসনা বালা দাস বলেন, আমি মাখন চন্দ্র দাসসহ ৩ ভাইয়ের কাছে ১৭ শতক সম্পত্তি বিক্রি করেছি। জনৈক আবদুল ওদুদ সরকারের নিকট কোন সম্পত্তি বিক্রি করি নাই। ওই সময় মাখন চন্দ্র দাস ও আবদুল ওদুদ সরকারের মধ্যে বন্ধুত্ব সম্পর্ক ছিল। কিভাবে দলিল রেজিষ্ট্রি করেছে তা আমি জানি না।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আবদুল ওয়াদুদ সরকার বলেন, আমি মৃত আবদুর রশিদ মেম্বারের ছেলেদের কাছ থেকে ওই সম্পত্তি ক্রয় করি। তারা কিভাবে এ সম্পত্তির মালিক আমি জানি না।