স্ব-পরিবারে কাঁচা মরিচের ঝাল রসগোল্লার স্বাদ নিতে মিষ্টির দোকানে আসা সাইদ পান্থ নামের এক সাংস্কৃতিক কর্মী বলেন, প্রথমে পরীক্ষামুলকভাবে বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে ঝাল রসগোল্লার স্বাদ গ্রহন করে বেশ ভালোই লেগেছে। তাই পরিবারের সকল সদস্যদের নিয়ে ঝাল রসগোল্লা খেতে এসেছি। তিনি আরও বলেন, এমনিতেই আমরা সবসময় মিষ্টি খেয়ে থাকি। তারমধ্যে ছানা দ্বারা তৈরী কাঁচা মরিচের ঝাল রসগোল্লাটি নতুন একটি স্বাদ এনেছে।
কাঁচা মরিচের ঝাল রসগোল্লা নিয়ে গত কয়েকদিন থেকে বরিশাল নগরীর মিষ্টি ক্রেতাদের মধ্যে তুমুল হৈচৈ পরেছে। মূলত বরিশালের মিষ্টির বাজারে কাঁচা মরিচের ঝাল রসগোল্লা প্রথম তৈরি হওয়ায় শৌখিন ক্রেতাদের মাঝে ব্যাপক সাড়া পরেছে।
মিষ্টির বাজারে নতুন এ ঝাল রসগোল্লা নিয়ে এসেছে নগরীর সদররোডস্থ সকাল সন্ধা মিষ্টান্ন ভান্ডার। সাধারনত ক্রেতারা সরমালাই, ক্ষিরমালাই, রসমালাই, পেষ্টিমালাই, গাজরের হালুয়া, স্পেশাল চমচম, ক্ষির কালাজাম, ক্ষির চমচম, কমলাভোগসহ বিভিন্ন নামের মিষ্টি ক্রয় করে থাকেন। গত ২৩ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যায় ক্রেতাদের মাঝে সকাল সন্ধা মিষ্টান্ন ভান্ডার প্রতিষ্ঠানের পরিচালক বিশ্বজিৎ ঘোষ বিশু প্রথম কাঁচা মরিচের ঝাল সংমিশ্রিত রসগোল্লা বাজারজাত করে আলোড়ন সৃষ্টি করেন।
প্রথমদিনেই যারা ঝাল রসগোল্লার স্বাদ গ্রহন করেছে তাদের মুখ থেকে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংবাদটি প্রচারিত হওয়ার পর থেকে নতুন এই কাঁচা ঝাল রসগোল্লার স্বাদ গ্রহন করার জন্য গত কয়েকদিন থেকে সকাল সন্ধা মিষ্টির দোকানে বিভিন্নস্থান থেকে ক্রেতারা ভিড় জমাতে শুরু করেন।
সকাল সন্ধা মিষ্টান্ন ভান্ডারের পরিচালক বিশ্বজিৎ ঘোষ বিশু বলেন, কাঁচা মরিচের ঝাল দ্বারা তৈরী রসগোল্লাটি দেশে সর্বপ্রথম কুমিল্লায় তৈরী করা হয়। সেখান থেকে প্রস্তুতের তথ্য সংগ্রহ করে আমিই প্রথম বরিশালের বাজারে ঝাল রসগোল্লা তৈরী করে বাজারে ছাড়ার পর নগরীতে বেশ সারা পরেছে। তিনি আরও বলেন, প্রতিটি মানুষকে চিকিৎসকরা সবসময় প্রতিদিন দুই থেকে তিনটি কাঁচা মরিচ খাওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে অনেকেই এভাবে কাঁচা মরিচ খাওয়ার অব্যস্থ নেই। তাই এই রসগোল্লার মধ্যে কাঁচা মরিচের সেই স্বাদ আনা হয়েছে। এ ছাড়া ডায়াবেটিকের রোগীদের জন্যও ঝাল রসগোল্লাটি ব্যাপক জনপ্রিয়। সূত্রমতে, ঝাল রসগোল্লা তৈরীতে খাঁটি ছানা ও সুগারের পাশাপাশি ভেলেন্ডার দ্বারা কাঁচা মরিচ মিশ্রিত করা হয়। পরবর্তীতে ইলেকট্রিক্যাল মেশিনের মাধ্যমে পরিপূর্ণ রসগোল্লা তৈরী করা হচ্ছে।