বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে পূর্ব শত্রুতা ধরে দিনে-দুপুরে সন্ত্রাসীরা শ্যালো মেশিন ভেংগে দিয়েছে। কুতুবপুর ইউনিয়নের বড়ইকান্দি গ্রামে ধানের ফসলী মাঠে ৮ ফেব্রুয়ারী এই ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে ৯ ফেব্রুয়ারী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। কিন্তু পুলিশ কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় সন্ত্রাসীরা আরো ব্যাপরোয়া হয়ে ওঠার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এজন্য ভুক্তভোগী জমিতে সেচ দিতে না পেরে ৪ বিঘা জমির ধান পানির অভাবে শুকিয়ে যাচ্ছে ও ৫ বিঘা জমি সেচের পানির অভাবে অনাবাদী পরে আছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ওই ইউনিয়নের বড়ইকান্দি মৌজার ৯১৭ দাগে শ্যালো মেশিন বসিয়ে ৪ বিঘা জমিতে ইরি-বোরো ধানের চারা রোপন করেন সুলতান সরকার। সুলতান সরকার বলেন, আমার বাড়ি থেকে শ্যালো মেশিনের দূরত্ব প্রায় দেড় কিলোমিটার। দুপুর দু’টায় বাড়িতে খেতে গেলে সন্ত্রাসীরা শ্যালো মেশিনের প্লাস্টিকের পাইপ, হুচ পাইপ, টিউবয়েল ভেংগে-গুড়িয়ে এবং শ্যালো মেশিনের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ বিকল করে দেয়। সে থেকে আমার স্কিমের জমিতে আর সেচ দিয়ে পারছিনা। এতে আমার রোপন করা ৪ বিঘা জমির ধানের চারা গাছ সম্পূর্ণরূপে শুকিয়ে বিবর্ণ হয়েছে, জমিতে আবাদ হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। এছাড়াও পানির অভাবে ৫ বিঘা জমি এখনো অনাবাদী রয়েছে। কৃষি জীবন-জীবিকার একমাত্র সম্বল। আমার পরিবার কি খেয়ে বেচে থাকবে, তার কূল-কিনারা পাচ্ছিনা। এ ব্যাপারে পুলিশের উপপরিদর্শক (এস.আই) এখলাছ বলেন, ওই জমিতে আদালতের স্থিতি অবস্থার নির্দেশ রয়েছে কিন্তু সুলতান বে-আইনীভাবে ওই নির্দেশ উপেক্ষা করে শ্যালো মেশিন বসিয়েছে। আসলে সুলতানই আইন অমান্য করেছে।