নাটোরের লালপুরে দুই পা ও হাতের রগ কেটে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জুয়েল আলী (৩০) নামের এক ব্যাক্তিকে হত্যা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ ২০২২) রাতে উপজেলার ওয়ালিয়া ইউনিয়নের দিলালপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শুক্রবার সকাল সোয়া ৮টার দিকে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তার মৃত্যু হয়। নিহত জুয়েল আলী ওই গ্রামের সাকেম আলীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত ৯ টার দিকে জুয়েল বাড়ী থেকে বের হয়ে দিলালপুর বাজারে যায়। বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কে বা কারা জুয়েল আলীকে ধরে নিয়ে গিয়ে দুই পায়ের রগ কেটে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে বাড়ির উত্তর পাশে গম ক্ষেতের পাশে পতিত জমিতে ফেলে রেখে যায়। ভোরে তার চাচাতো ভাই লিখন আলী খেজুর গাছ থেকে রস নামাতে গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পায়। তার চিৎকারে আত্মীয়স্বজন মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল সোয়া ৮টার দিকে তিনি মারা যান।
লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সুরুজ্জামান শামীম বলেন, ধারালো অস্ত্র দিয়ে দুই পায়ের ও এক হাতে রগ কেটে দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করা হয়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে সকাল সোয়া ৮টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জুয়েল আলী মারা যান।
নিহতের মামা মন্টু আলী বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে দিলালপুর বাজারে তার সাথে বাজারে ভাগিনা জুয়েল আলী কেরাম খেলার পর চা খেয়ে বাড়িতে চলে যায়।
নিহতের বাবা সাকেম আলী বলেন, বাজার থেকে আসার সময় ধরে নিয়ে গিয়ে পায়ের রগ কেটে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে তার ছেলেকে মেরে ফেলেছে।
প্রতিবেশি কয়েকজন বলেন, জুয়েল আলীর দাদা পলান প্রামাণিকের সাথে জমিজমা সংক্রান্ত একটি মামলা দীর্ঘদিন যাবৎ চলছিল। গত মাসে ওই মামলায় আদালত থেকে জুয়েলের দাদা পলান প্রামাণিক ডিগ্রি পান। এরই জেরে হত্যার ঘটনা ঘটতে পারে।
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফজলুর রহমান বলেন, হত্যাকা-ের প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে থানা পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে। ঘটনাস্থলে পুলিশের অন্যান্য শাখাও কাজ করছে। দ্রুত প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।