বীর মুক্তিযোদ্ধা, শেরপুর জেলা সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের নেতা ও প্রবীণ সাংবাদিক তালাপতুফ হোসেন মঞ্জু স্মরণে শুক্রবার (৪ মার্চ) বিকেলে শোকসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম মুক্তিযুদ্ধ ৭১ শেরপুর জেলা শাখার উদ্যোগে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমপ্লেক্স ভবন মিলনায়তনে এই শোকসভা ও দোয়া মাহফিলেরআয়োজন করা হয়।
জেলা সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ ৭১ এর সভাপতি মুক্তিযুদ্ধকালীন
কোম্পানী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মাওলার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত
শোক সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করা হয়। পরে প্রয়াত
মুক্তিযোদ্ধার মঞ্জুর আত্মার শান্তি কামনা করে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা
পালন করা হয়। জেলা সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম নেতা হারেজ আলীর সঞ্চালনায়
শোকসভায় অন্যন্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের
সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আখতারুজ্জামান, শিক্ষাবিদ
অধ্যাপক ড. সুধাময় দাস, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর
মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম হিরো, প্রবীন সাংবাদিক সুশীল মালাকার,জেলা
আইনজীবী সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোখলেসুর রহমান আকন্দ, বীর
মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট প্রদীপ দে কৃষ্ণ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল
খালেক, জেলা উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সভাপতি অধ্যক্ষ তপন সারোয়ার,প্রয়াত বীর
মুক্তিযোদ্ধা তালাপতুফ হোসেন মঞ্জুর সহধর্মিণী শিরিন আরা সুলতানা খানম,
একমাত্র ছেলে সাদনান হোসেন দীপ্ত,বীর মুক্তিযোদ্ধা বাদল দে,আওয়ামী লীগ
নেতা মিনহাজ উদ্দিন মিনাল,জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তাপস সাহা,প্রবীন
ব্যবসায়ী হারান সাহা, সাংবাদিক আবদুর রহিম বাদল, সাংবাদিক জিএম বাবুল,
সাংবাদিক দেবাশীষ ভট্টাচার্য্য প্রমুখ।
শোকসভায় বক্তারা বলেন, তালাপতুফ হোসেন মঞ্জু শুধু একটি নাম নয়, একটি
ইতিহাস তিনি ছিলেন একজন খাঁটি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালনকারী ও জাতির
পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। অনুকূল ও প্রতিকুল পরিবেশে তিনি সব সময়
জয় বাংলা ও জয় বঙ্গবন্ধু শ্লোগান দিতেন। তিনি ছিলেন
অসাম্প্রদায়িক,স্পস্টভাষী,দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিক। ১৯৭৩ সালে
শেরপুর কলেজের নির্বাচিত জিএস নির্লোভ এই মানুষটি সাদামাটা জীবনযাপন
করতেন। তিনি ছিলেন গনমানুষের আপন জন ও মুক্তিযুদ্ধের মুর্তিমান প্রতিক।
মুক্তিযুদ্ধের সময় শেরপুরে কারা কারা স্বাধীনতার বিরোধীতা করেছিল তা
তিনিই একমাত্র নির্ভয়ে বলতেন। শেরপুরের শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী ফাঁসির দন্ড
কার্যকর হওয়া জামায়াত নেতা কামারুজ্জামানের বিচারের ব্যাপারে তিনি অনন্য
ভূমিকা পালন করেছেন। এতে দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন অবসরপ্রাপ্ত মৎস্য
কর্মকর্তা নূরুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা, আইনজীবী, সাংবাদিকগণ, শহরের বিশিষ্ট
ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।