উত্তরের জনপদ দিনাজপুর। দিনাজপুরের সর্ব দক্ষিনে অবস্থিত হাকিমপুর (হিলি) উপজেলা। এই উপজেলাটি তিনটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। উপজেলাটিতে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর অবস্থিত। সেখান থেকে সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব পয়ে থাকলেও নানা উন্নয়নমূলক কর্মকা- থেকে পিছিয়ে রয়েছে এখানকার সাধারণ জনগণ। বিশেষ করে রাস্তাঘাট উন্নতম।
বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, রোদে ধুলা, বৃষ্টিতে কাদা। এই ধুলা আর কাদায় নাকাল দিনাজপুরের হাকিমপুর (হিলি) পৌরসভার বাসিন্দারা। পর্যাপ্ত নর্দমা (ড্রেনেজ) না থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন সচেতন এলাকাবাসী।
স্থানীয় কয়েকজন রিকশাচালক জানান, একদিকে রাস্তার অবস্থা খুব খারাপ, অপর দিকে ধুলার জন্য তাঁরা ঠিকমতো রিকশা চালাতে পারেন না। এতে পরিবার-পরিজন নিয়ে তাঁদের অনেক সময় কষ্টে দিনাতিপাত করতে হয়। যদি হাকিমপুর পৌরসভা অথবা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাস্তাগুলোতে প্রতিদিন পানির ব্যবস্থা করা হতো তবে কিছুটা ধুলা থেকে রক্ষা পাওয়া যেতো।
হাকিমপুর (হিলি) উপজেলা ঘুরে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সামান্য বৃষ্টিতেই শহরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে রাস্তাঘাট ডুবে যায়। পানি সরে গেলে শহরের মূল সড়ক ও অভ্যন্তরীণ রাস্তায় প্রচুর কাদা জমে। দিনাজপুর, জয়পুরহাট, গাইবান্ধা ও ঢাকার সঙ্গে হিলির ত্রিমুখী সড়ক যোগাযোগ রয়েছে। হিলি স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ পণ্যবাহী ট্রাক ও শতাধিক যাত্রীবাহী বাসসহ হাজারো যানবাহন চলাচল করে। ফলে শুকনা মৌসুমে দিন-রাত ধুলায় আচ্ছন্ন থাকে পুরো শহর।
হাকিমপুর উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জান গেছে, ধুলার কারণে তারা স্বাভাবিক ভাবে চলাফেরা বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারছে না। তাদের স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত হচ্ছে। ধুলার জন্য অনেক শিক্ষার্থী কাশিসহ ধুলাবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
হাকিমপুর (হিলি) পৌরসভার মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত জানান, ধুলার কারণে জনগণের অসুবিধা হচ্ছে। ইতোমধ্যে স্থানীয় মন্ত্রনালয়ে একটি গাড়ির জন্য আবেদন করা হয়েছে। গাড়িটি পাওয়া গেলে রাস্তায় নিয়মিত পানি ছিটিয়ে ধুলা নির্মুল করা হবে।
হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শ্যামল কুমার দাস জানান, ধুলা একটি মারাত্মক জীবাণু। নাক দিয়ে ধুলা মানব দেহে প্রবেশ করে ফুসফুসের নানা সমস্যার সৃষ্টি করে থাকে। সেই জন্য সবাইকে ধুলা থেকে মুক্ত থাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার করা জরুরী।