পাথরঘাটা পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের আসমত আলী হাওলাদারের ছেলে সেলিম হাওলাদার ৬ মার্চ রোববার বেলা ১১ টায় একটি সংবাদ সম্মেলন করেন।
ওই সংবাদ সম্মেলনে সেলিম হাওলাদার তার লিখিত বক্তব্যে জানান, পৌরসভাধীন ৭নং ওয়ার্ডের নূর মোহাম্মদ মোল্লার ছেলে আলম মোল্লা বিয়ের প্রলোভন দিয়ে শিরিন বেগম নামক এক নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক এবং অবৈধ গর্ভপাত ঘটিয়ে নিজের অপরাধ আড়াল করতে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছেন।
লিখিত বক্তব্যে সেলিম বলেন, আলম মোল্লা একজন নারী লোভী, জলদস্যু, ভূমিদস্যু ও মাদক কারবারি। শিরিন বেগম নামক ওই নারীর সঙ্গে তার অশ্লীল ফোনালাপ সামাজিক যোগাযোগে ছড়িয়ে পরেছে। সংবাদ সম্মেলনে সেলিম বলেন ১৯৯০ সালে সে একজন রিকশাচালক ছিল। এরপরে মাছ ধরা জেলেদের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে সুন্দরবনে বনদস্যু জলদস্যুতা শুরু করে। হঠাৎ সে আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়ে যায়। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই বনে যান ট্রলার মালিক ও শেষ পর্যন্ত মৎস্য ব্যাবসায়ী। বঙ্গোপসাগরে যখন অন্যান্য ট্রলারে মাছ পাওয়া যায়না, ঠিক তখন তার ট্রলার মাছে পরিপূর্ণ। জলদস্যুদর সাথে একজোট হয়ে সমুদ্র বক্ষের অসহায় জেলেদের মাছ লুট করে তীরে নিয়ে আসার অভিযোগ করেন আলম মোল্লার বিরুদ্ধে। সমুদ্রের জেলেদের মুক্তিপণের টাকা স্থলপথে আদান-প্রদান করারও অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। ২০০৩ সালে হরিণের মাংস চামড়া নিয়ে অপারেশন ক্লিনহার্ট কর্তৃক আটক হন আলম মোল্লা। ২০০৭ সালে মাসুম কোম্পানির ট্রলারে ডাকাতি করে ধরা পড়েছিলেন আলম মোল্লা। ২০১১ সালে মতি কোম্পানির ছেলে আলম কোম্পানির মাছধরা জাল ডাকাতি করে নিয়ে আসে আলম মোল্লা। ২০১১ সালে আলম মোল্লার ঘরের পাশ থেকে অস্ত্রসহ ১১ জলদস্যুকে আটক করে র্যাব-৮। ওই অস্ত্রের পিছনেও আলম মোল্লার হাত রয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন সেলিম হাওলাদার। ২০১৬ সালে র্যাবের হাতে আটক হয় আলম মোল্লা। পরে জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরীর সুপারিশে ছাড়া পায় আলম। ২০১২ সালে ভোলার একটি মাছ ধরার ট্রলারে ডাকাতি করার অভিযোগ ওঠে তার ট্রলারের জেলেদের বিরুদ্ধে। সেখানে ১০ লাখ টাকা দিয়ে ছাড়া পায় আলম। সবশেষে তিন-চার মাস আগে আলম মোল্লার ট্রলারের নজরুল মাঝী মহিপুরের একটি ফিশিং বোট থেকে মাছধরা জাল ডাকাতি করে আনে। ঘটনা ওই সময়ে অধিকাংশ পত্রিকায় প্রকাশিত হয় বলেও জানান সেলিম। আলম মোল্লার মোবাইল ফোন ট্রাকিং করলে জলদস্যুতার প্রমাণ পাওয়া যাবে বলেও তিনি অভিযোগ তোলেন।
আলম মোল্লার জামাতা একজন পুলিশ সদস্য। কখনো রাব, কখনো প্রধানমন্ত্রীর বডিগার্ড, ডিবি ইত্যাদি বলে এলাকায় ভয়-ভীতি প্রদর্শন করছেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন সেলিম।
সব মিলিয়ে নারী কেলেঙ্কারির ঘটনা আড়াল করতে আলম মোল্লার অপরাধ জগতের তথ্য সংবাদ সম্মেলনে উন্মোচন করলেন মৎস্য ব্যবসায়ী সেলিম।
আলম মোল্লার কাছে জানতে চাইলে জানান, তিনি আরও বলেন, স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী সেলিম মিয়ার মেয়ে আমার পুত্র বধু ছিল। পারিবারিক কারণে আমার ছেলের সাথে তার মেয়ের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। এরই জের ধরে ওই সেলিম আমার বিরুদ্ধে শিরীনকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। তাদের স্বার্থ চরিতার্থ করছে এবং আমার মানসন্মান নষ্ট করার পায়তারা চালাচ্ছে।