সুনামগঞ্জ শহরের পশ্চিম তেঘরিয়া এলাকায় পরকিয়া ও পারিবারিক কলহের জেরে স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন হয়েছে। খুনহওয়া হতভঅগ্য নারী রিপা বেগম (৩০)। রোবাবার (৬ মার্চ) দুপুরে পৌর শহরের পশ্চিম তেঘরিয়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। ঘাতক স্বামী আবদুল হামিদ মিল্টন (৪২)কে আটক করেছে সুনামগঞ্জ র্যাব। মিল্টন সুনামগঞ্জ সদর পৌরসভার ষোলঘর এলাকার লেম্বু মিয়া ছেলে। সে পেশায় একজন রিকশা চালক।
রিপার প্রথম স্বামী পরকিয়ার খবর জানতে পেরে আজ দুপুরে পশ্চিম তেঘরিয়ার স্ত্রীর ভাড়াকরা বাসায় এসে। স্ত্রী'র সাথে দরজা বন্ধকরে প্রথমে কথা বলেন। একপর্যায়ে কথা কাটাকাটি হয়। পরে ঘরে থাকা তরকারি কাটার দা দিয়ে ঘাতক স্বামী স্ত্রী মাথায় আঘাত করলে চিৎকার দিয়ে রিপা মাটিতে লুটিয়েপরে।
রিপার চিৎকারে আশ-পাশের লোকজন এসে দরজা বন্ধদেখে ভেতরে কে আছে দরজা খোলতে বলেন, দরজা খুলে মিল্টন দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। পরে বাসার মালিক ‘৯৯৯’ এ ফোন দিয়ে ঘটনাটি বললে পুলিশ তাৎক্ষণিক ভাবে ঘটনাস্থলে গিয়ে ও নারীকে উদ্বার করে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠালে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ দিন আগে স্বামী আবদুল হামিদের সাথে ঝগড়া করে মঈনপুর গ্রাম থেকে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের পশ্চিম তেঘরিয়া এলাকায় ভাড়া বাসা নিয়ে মঙ্গলকাটা গ্রামের গুলজার আহমদ নামে এক যুবককে স্বামী পরিচয় দিয়ে বসবাস করতে থাকেন।
খুন হওয়া রিপা বেগম বড় মেয়ে ফাহমিদা জাহান বলেন, আমি পাশের ঘরে এসে টিভি দেখছিলাম। হঠাৎ আমার বাবা এসে ঘরের দরজা লাগিয়ে মায়ের সাথে কথা বলতে থাকে। পরে মায়ের চিৎকার শুনে পাশের ঘরের খালাসহ আমরা সবাই দৌঁড়ে যাই। পরে বাবাকে দরজা খুলার জন্য অনুরোধ করলে বাবা দরজা খুলে দৌঁড়ে পালিয়ে যায় এবং মা মাটিতে পড়ে থাকে।
বাসার মালিক আরিফুর রহমান বলেন, আমাদের বাসায় ১৫ দিন আগে রিপা বেগম ভাড়া নেন। তিনি জানান ওঁর স্বামী গুলজার আহমদ ও এক মেয়েকে নিয়ে থাকবেন। সেই অনুযায়ী আমরা তাদের বাসা ভাড়া দেই। কিন্তু আজকে হঠাৎ তার প্রথম স্বামী এসে তাকে দা দিয়ে আঘাত করে চলে যায়। পরে আমি ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে পুলিশকে বিষয়টি জানাই।
সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) জয়নাল আবেদীন বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন হয়েছেন। ঘাতক স্বামীকে আটক করেছে সুনামগঞ্জ র্যাব।