শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে বনবিভাগের ২১ একর বেদখলীয় জমি উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার (৫ মার্চ) উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, বিজিবি ও বন বিভাগের যৌথউদ্যোগে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়ে উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের তাওয়াকোচা ফরেস্ট বিট এলাকার ২১ একর জমি উদ্ধার করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জয়নাল আবেদীন। শনিবার দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে এ অভিযান।
অভিযানকালে অন্যান্যের মধ্যে শেরপুরের সহকারী বন সংরক্ষক মোহাম্মদ আবুইউসুফ, বনবিভাগের রাংটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মকরুল ইসলাম আকন্দ, বালিজুরি ফরেস্ট রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলামসহ বনবিভাগের বিভিন্ন রেঞ্জ ও বিট কর্মকর্তা, বন প্রহরী, থানা পুলিশ, বিজিবি সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত ও বনবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, পার্শ্ববতী শ্রীবরদী উপজেলার বালিজুরি গ্রামের স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নুরুল ইসলাম বন বিভাগের প্রায় ২০ একর ও জেলা প্রশাসনের ১ একর ২৩ শতাংশ জমি দখল করে অবৈধভাবে মৎস্য প্রজেক্ট স্থাপন করে ভোগদখলে রেখেছিলেন। ওই জায়গাটি সাম্প্রতিক সময়ে মায়াবী লেক নামে পরিচিত হয়ে উঠে এবং পর্যটকদের আনাগোনাও
বেড়ে যায়।
দীর্ঘদিন জায়গাটি নুরুল ইসলামের ভোগদখলে থাকার পর শনিবার উপজেলা প্রশাসন ও বনবিভাগের যৌথ অভিযান চালিয়ে এ জমি উদ্ধার করে। ওই সময় মৎস্য প্রজেক্ট পাহারা দেয়ার জন্য নির্মিত একটি পাকা ভবন ও একটি টিন সেড ঘর গুড়িয়ে দেয়া হয়। উদ্ধারকৃত জমির মূল্য কোটি টাকার উপরে হবে।
শেরপুরের সহকারী বন সংরক্ষক মোহাম্মদ আবু ইউসুফ বলেন, বনের জমি উদ্ধারে এ ধরনের অভিযান পরিচালনা অব্যাহত থাকবে।