কেউ সিমেন্ট দিয়ে ইটের গাথুনি, কেউ বা কাঁঠের ফ্রেম বসিয়ে তাতে রঙ্গিন টিনের ছাউনী, আবার কেউ দেয়ালের বিভিন্ন অংশে ঘষা-মাজার পর চুন ও রংগের আস্তরন দিচ্ছেন, আবার কেউবা ঘরের দরজা-জানালা লাগানোর কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। বগুড়ার সারিয়াকান্দির কাজলা ইউনিয়নের পাকেরদহ চরে গৃহহীনদের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর-দোর নির্মাণের কাজে এ ভাবেই ব্যস্ত সময় পাড় করছেন নির্মাণ শ্রমিকরা। দমফেলার ফুসরত নেই যেন তাদের হাতে। সকাল থেকে শুরু করে সন্ধা পর্যন্ত চলছে এভাবেই ওই প্রকল্পের অধিনে ঘরের নির্মাণ কাজ। জানা গেছে, ‘আশ্রয়নের অধিকার শেখ হাসিনার উপহার’- এ শ্লোগান সামনে রেখে কাজলা ইউনিয়নের পাকেরদহ চরে গৃৃহহীনদের জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে ৫০টি ঘর। আর অল্প দিনের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ হয়ে যাবে প্রকল্পের ঘর গুলো। এরপর দেয়া হবে ঘর ও দুইশতাংশ জমির মালিকানা দলিল পত্রাদি। ওই ঘরে টয়লেট ও রান্না করার জন্য রুম সুবিধা থাকছে। কাজলা ইউনিয়নের টেংরাকুড়া চরে সত্তোর্ধ সাদেক আলী বলেন, এবার সরকারি ঘর পাওয়াদের তালিকায় আমার নাম আছে। প্রায় ১৬ বছর আগে যমুনা নদী গর্ভে আমার ঘর-দোর বিলিন হয়েছিলো। সে থেকে পরের জায়গায় ছনের ছাউনির ঘরে স্ত্রী, তিন ছেলে-মেয়ে নিয়ে কোনমতে মাথা গুজে আছি। আকাশে কালো মেঘ হলেই ঘরের চালা উড়ে যাওয়ার ভয়ে আতঙ্কে থাকি। পাকা ঘর পেলে সেই আতঙ্ক-ভয় আর থাকবেনা। ভাবতেই পারছিনা কয়েক দিন পরেই আমি পাকা ঘরের মালিক হবো। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রেজাউল সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, ওই চরে ৫০টি ঘর গৃহহীনদের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। খুব শিঘ্রই তালিকা অনুযায়ী তাদেকে বরাদ্দ দেয়া হবে। এছাড়াও তৃতীয় পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে ওই প্রকল্পের আওতায় আরো ২৫০টি ঘর নির্মান করা হবে। চালুয়াবাড়ীর ও ফুলবাড়ী ইউনিয়নের চর ডোমকান্দি গ্রামে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের এই ঘরগুলি নির্মাণ করা হবে। আগামী জুন মাসের মধ্যে এ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ কাজ শেষ করা হবে। ঘর নির্মাণের জমিতে এখন পূর্ব প্রস্তুতি চলছে। প্রতিটি ঘর নির্মাণ বাবদ ব্যয় হবে ২ লক্ষ ৫৯ হাজার ৯৭৫ টাকা।