দীর্ঘদিন থেকে অরক্ষিত অবস্থায় থাকা বরিশাল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে সিভিল এভিয়েশন। ইতোমধ্যে তারা বিমানবন্দরের সীমানা ঘেঁষে গড়ে ওঠা দীর্ঘ ২৩ বছর পূর্বের স্থাপনা অপসারণ করতে সক্ষম হয়েছে।
কর্তৃপক্ষের কঠোর নির্দেশে বিমান বন্দরের উত্তর পাশের সীমানার মধ্যে থাকা বসতঘর সরিয়ে নিয়েছে দখলকারীরা। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে বরিশাল বিমানবন্দরে কিছুটা হলেও নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সূত্রমতে, দীর্ঘদিন থেকে অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে বরিশালসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলের একমাত্র বিমানবন্দরটি। যার অবস্থান বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুরে। বিমানবন্দরের সীমানা প্রাচীর না থাকায় মানুষের যত্রতত্র চলাফেরা, রানওয়েতে কুকুর দৌঁড়ানো এবং গরু চড়ানো হয়ে আসছিলো। এ ছাড়া সুগন্ধা নদী সংলগ্ন বিমানবন্দরের উত্তর পাশের জমি দখল করে বসবাস করে আসছিলো একটি পরিবার।
সম্প্রতি সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ এবং বেসাময়িক বিমান মন্ত্রণালয় থেকে বরিশাল বিমানবন্দর পরিদর্শন করেন একটি টিম। ওই টিমের সদস্যরা তদন্ত করে মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া প্রতিবেদনে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জোর তাগিদ দিয়েছেন। তারই অংশ হিসেবে দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে বিমানবন্দরের উত্তর পাশে সীমানার মধ্যে বসতঘর তুলে বসবাস করা অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করেছে সিভিল এভিয়েশন। সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, খুব শীঘ্রই বিমানবন্দরের অসমাপ্ত সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে।