রাতের আধাঁরে ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে সাথে নিয়ে প্রেমিকার সাথে দেখা করতে গিয়েছিলো প্রেমিক সুমন খন্দকার (১৭)। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে প্রেমিকার বাবা ধাওয়া করেন সুমনকে। এ সময় আত্মরক্ষার্থে রোপিত বোরো ধান ক্ষেতের মধ্যদিয়ে পালাতে গিয়ে বিদ্যুতপৃষ্ঠ হয়ে মারা গেছে সুমন।
জমির মালিক ইঁদুরের উপদ্রব্য থেকে রক্ষা পেতে গত কয়েকদিন থেকে ওই জমিতে বিদ্যুতের লাইন দিয়েছিলেন। তবে বিষয়টি সম্পূর্ণ রহস্যজনক বলে দাবি করেছেন গ্রামবাসী। প্রাথমিকভাবে তাদের ধারনা পরিকল্পিতভাবে সুমনকে হত্যার পর ওই ধান ক্ষেতে ফালানো হয়েছে।
ঘটনাটি জেলার গৌরনদী উপজেলার বার্থী ইউনিয়নের উত্তর বাউরগাতি গ্রামের। মঙ্গলবার দুপুরে থানা পুলিশ নিহত সুমনের লাশের ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছেন। তবে পুরোবিষয়টি ধামাচাঁপা দেওয়ার জন্য স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল মোটা অংকের টাকার মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ওই গ্রামের ইব্রাহীম খন্দকারের ছেলে সুমনের সাথে দীর্ঘদিন থেকে একই গ্রামের সোহেল খানের স্কুল পড়-য়া মেয়ে শান্তা আক্তারের (১৬) প্রেমের সর্ম্পক চলে আসছে। সোমবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে সুমন তার প্রেমিকার সাথে দেখা করতে তাদের বাড়িতে যায়। এ সময় সুমনের সাথে তার বন্ধু একইগ্রামের সিফাত বেপারী উপস্থিত ছিলো।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, গভীররাতে সুমনের উপস্থিতি টের পেয়ে শান্তার বাবা সোহেল খান ধাওয়া করেন। এ সময় সুমনের সহযোগী সিফাত কৌশলে পালিয়ে থাকলেও সুমন দৌঁড়ে পাশ্ববর্তী নদীর পাড়ের বোরো ক্ষেতের মধ্যদিয়ে পালাতে চেয়েছিলো। কিন্তু জমির মালিক আবুল মীরা ধান ক্ষেতে ইঁদুরের উপদ্রব্য থেকে রক্ষা পেতে গত কয়েকদিন ধরে বিদ্যুত লাইন স্থাপন করে। সুমন সেই বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
এ ব্যাপারে গৌরনদী মডেল থানার ওসি মোঃ আফজাল হোসেন বলেন, পুরো ঘটনাটির তদন্ত চলছে। ইতোমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত সুমনের প্রেমিকাকে থানা হেফাজতে আনা হয়েছে। পাশাপাশি সুমন খন্দকারের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।